শিল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগের ঘোষণা
Published: 17th, April 2025 GMT
আগে আবেদন করলে আগে ভিত্তিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইপিজেড, বিসিক শিল্পনগরীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান। গ্যাস পেলেই উৎপাদনে যেতে পারবে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই লোডবৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে গ্যাসের সিস্টেম লস হ্রাস সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব নির্দেশনা দেন।
বিইআরসি নির্ধারিত ট্যারিফে পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে অগ্রাধিকার এবং পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলের বাইরের বিষয়ে রপ্তানিমুখী শিল্পে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন পরিপত্র জারিকরার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ফাওজুল কবির খান বলেন, গ্যাসের প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে গ্রাহকের সংযোগ কার্যকর ও নতুন সংযোগের অনুমোদন দিতে হবে। রাজস্ব বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন গ্যাস সংযোগ ও লোডবৃদ্ধির কার্যকর করতে হবে। এতে কি পরিমাণ রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে তার হিসাব নিরূপণ করারও নির্দেশ দেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৩১ মে তারিখের মধ্যে গ্যাস পাইপলাইনের সকল লিকেজ মেরামত নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় উত্থাপিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সিস্টেম লস ৪ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিইআরসির তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) গ্যাসের সামগ্রিক সিস্টেম লস আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাসের সিস্টেম লস ছিল ৮.
সভায় আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজার ৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনে জরিপ পরিচালনা করা হয়। ওই জরিপে ৯ হাজার ৩৮৪টি ছিদ্র পাওয়া গেছে। একই সময়ে জালালাবাদে ১১৮টি, জিটিসিএল’ এ মাত্র ২টি লিকেজ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি মাত্র ১১টি, বাখরাবাদে ৩টি, এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসে ১টি ছিদ্র চিহ্নিত ও মেরামত করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স স ট ম লস
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের পাঁচজন প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের একজন স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’–এর অভিযোগ ছিল। বিভাগীয় তদন্তে তাঁরা দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ বুধবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্ত করা কর্মকর্তারা হলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মনিরুজ্জামান মনি, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ই/এম) আবদুল্লা আল মামুন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) ফারহানা আহমেদ ও সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মফিজুল ইসলাম। এ পাঁচজন গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। একই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলামকেও বরখাস্ত করা হয়।
কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনিরুজ্জামান মনি কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ডক্টরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি (মঞ্জুরীকৃত প্রেষণ) নেন। প্রেষণ শেষে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার আলোকে তাঁকে গত ২১ এপ্রিল বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লা আল মামুন পিএইচডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দুই বছরের জন্য ছুটিতে যান। কিন্তু ছুটি শেষে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় গত ১৫ মে বরখাস্ত হন।
রাহানুমা তাজনীন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইওমিংয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়তে ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তাই চলতি মাসের ২ তারিখ তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
ফারহানা আহমেদ কানাডার রায়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়তে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে যান। ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তাই তাঁকে চলতি মাসের ৮ তারিখ বরখাস্ত করা হয়।
মফিজুল ইসলাম সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস পড়তে ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু এর পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে ২৭ জুলাই বরখাস্ত করা হয়।
অন্যদিকে শিরাজী তারিকুল ইসলাম ২০২২ সালের ১২ মে থেকে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত রয়েছেন। তাই তাঁকে চলতি বছরের ২১ মে বরখাস্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্ত শেষে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।