তামিম ইকবালের ৭ দুগুণে ১৪ ও আম্পায়ার থেকে ক্রিকেট
Published: 18th, April 2025 GMT
৭ দুগুণে ১৪ক্রিকেট রান ও উইকেটের খেলা। ক্রিকেট চার-ছক্কার খেলাও। সব মিলিয়ে ক্রিকেটটা সংখ্যাময় এক খেলাই। ক্রিকেটের সংখ্যাগুলো অবশ্য একেবারে রসকষহীন নয়। সংখ্যায় চোখ বোলালে মজার অনেক কিছুই চোখে পড়তে বাধ্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১০০ ও ২০০তম জয়ের ম্যাচ দুটিকেই উদাহরণ হিসেবে আনা যায়। বাংলাদেশ ১০০তম জয়টি পায় ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ছিল সেটি। বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল সেদিন ৭৬ রান করার পথে ৭টি চার মারেন। বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যাটা দ্বিগুণ, অর্থাৎ ২০০ হয় ২০২২ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের তৃতীয় ওয়ানডেতে। সেঞ্চুরিয়নের সেই ম্যাচে সফল রান তাড়ায় তামিম অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। ১০০তম জয়ে ৭টি চার মারা তামিম ২০০তম জয়ে চার মেরেছিলেন কয়টি জানেন—১৪টি। ১০০-এর দ্বিগুণ ২০০, তামিমের চারও হয়ে যায় দ্বিগুণ।উল্টো পথেসবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করার রেকর্ডটা জর্জ কুলথার্ডের। সেই ১৮৭৯ সালে ইতিহাসের তৃতীয় টেস্টে আম্পায়ারিংয়ে নামার দিন কুলথার্ডের বয়স ছিল ২২ বছর ১৫৪ দিন। শুধু আম্পায়ারিংই নয়, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি টেস্টও খেলেছেন কুলথার্ড। তবে ক্রিকেটার থেকে আম্পায়ার নয়, কুলথার্ড হেঁটেছেন উল্টো পথে। টেস্টে আম্পায়ারিং করার তিন বছর পর ১৮৮২ সালে একমাত্র টেস্টটি খেলেছেন তিনি। সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ১১ নম্বরে ব্যাট করে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন কুলথার্ড। ক্রিকেটের চেয়েও অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলে বেশি নাম কিনেছিলেন কুলথার্ড। খেলাটির ইতিহাসে প্রথম মহাতারকা বলা হয় তাঁকেই। তবে ১৮৮২ সালে ২৫ বছর বয়সে যতি পড়েছিল তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ারের। কেন জানেন, ম্যাচ চলার সময় বাজে ভাষা ব্যবহার করায় তাঁকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ভিক্টোরিয়ার রাজ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম প য় র
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুতে ঈদের ছুটির শেষ ৪৮ ঘণ্টায় ৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ঈদের ছুটি শেষে গত দুই দিনে সড়কে কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। বেড়ে যায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারও। বেড়েছে টোল আদায়ও। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭৭৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫০ টাকা।
যমুনা সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৬৬টি যানবাহন রয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ৩৩ হাজার ৩২৯টি যানবাহন পার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী যানবাহন ছিল ৩০ হাজার ৮১৭টি। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন পারাপার হয়। এবার ঈদের ছুটির শুরুতে এবং শেষে যানবাহন পারাপার কয়েক গুণ বেড়ে যায়।