ওজন কমানোই এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জয় করে ওজন যদিও–বা কিছুটা কমে, ভুঁড়িটা যেন কমতেই চায় না! আপনি হয়তো খাওয়া কমিয়েছেন, ব্যায়ামও করছেন রোজ। তবু ভুঁড়ি কমছে না। এ রকম কেন হয়?
পেটের মেদ কমাতে হলে আপনাকে সত্যিকার অর্থে এক স্বাস্থ্যকর জীবনধারার চর্চা করতে হবে। কী খাবেন, কী খাবেন না, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। কেবল পরিমাণে কম খাওয়াই সমাধান নয়। অল্প খাবারেও অনেক বেশি ক্যালরি থাকতে পারে। তা ছাড়া কোন ধরনের ব্যায়াম করলে পেটের মেদ কমবে, তা–ও জানা থাকতে হবে। জীবনধারার অন্যান্য দিকও ঠিক রাখতে হবে। এমনটাই বলছিলেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা.
তাসনোভা মাহিন।
তেল-চর্বি, মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবার কম খেতে হবে, এ তো সবারই জানা। তবে আধুনিক শহুরে জীবনধারায় অনেকেই প্রক্রিয়াজাত খাবার খান। এ অভ্যাস মেদ ঝরানোর অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই হোল গ্রেইন বা গোটা শস্য থেকে তৈরি করা খাবার বেছে নিন। লাল চাল, লাল আটা, ওটস, ছাতু, কর্নফ্লেক্স খেতে পারেন। ইনস্ট্যান্ট খাবার, অর্থাৎ ঝটপট রান্না করা যায়, এমন খাবার খাবেন না। তেল ছাড়া পরোটা খাচ্ছেন? এই ভুল একদমই করবেন না। এতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। আকারে খুব বড় না হলেও শিঙাড়া, সমুচা, পুরি, পেটিস প্রভৃতিতেও প্রচুর ক্যালরি থাকে। এসব একেবারেই বাদ দিন। সস, কেচাপ, মেয়োনিজও বাদ দিতে হবে। ফলমূল, শাকসবজি খাবেন নিয়মিত। নানা রকম ফলমূল ও শাকসবজি খাবেন। বৈচিত্র্য আনবেন পদে। তাহলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখা সহজ হবে। তবে মিষ্টি ফল খুব বেশি খাবেন না। আলু ও মিষ্টি আলুও কম খাবেন।
কোমল পানীয় না খেয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুনউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।