রংপুর থেকে রাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে সন্তুষ্ট ভর্তিচ্ছুর
Published: 19th, April 2025 GMT
রংপুরসহ (বেরোবি) আঞ্চলিক পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুই শিফটে রংপুর শহরের তিনটি প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথম শিফটে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৪ জন, দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ১ হাজার ১৯৪ জন এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৫৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তিন পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট উপস্থিত পরীক্ষার্থীর হার ৯২.
দ্বিতীয় শিফটে দুপুর আড়াইটা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩৭ জন, দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৯৬২ এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তিন পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট উপস্থিতির হার ৯৩.১৯ শতাংশ।
বেরোবি কেন্দ্রে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীরা জানান, বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা দিতে পারায় তারা সন্তুষ্ট। এ পরীক্ষা যদি রাজশাহীতে হত, তাহলে নানা বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হত। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র হওয়ায় তারা সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পেরেছেন।
বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বেরোবি কেন্দ্রে উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমগ্র উত্তর অঞ্চলের পরীক্ষার্থীরা রংপুরের তিনটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারায় তাদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এই ভর্তি পরীক্ষায় রংপুরের তিনটি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার সন্তোষজনক। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বেরোবি ফোকাল পয়েন্ট সমন্বয়কারী ও প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান, রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশীদ, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের গ্রন্থাগারিক ড. মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ল অ য ন ড কল জ ক ন দ র পর ক ষ র থ পর ক ষ য় অন ষ ঠ ত ন পর ক ষ উপস থ ত র ভর ত
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়, কোনটা বিভেদ, খেয়াল রাখতে হবে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, কসমেটিক পরিবর্তন দিয়ে বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য প্রথমে মানুষের অন্তরের পরিবর্তন দরকার।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন আবদুল মঈন খান। ‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতার আয়োজন করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বলা হচ্ছে সংবিধানের কিছু পরিবর্তন হবে, কিন্তু আমি বলব, পুরো সংবিধান পাল্টে দিলেও যারা সংবিধান তৈরি ও পালন করে, এ দেশের জনগণের অন্তরের পরিবর্তন না হলে কোনো লাভ হবে না। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়। কোনটা বিভেদ, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ১৬শ হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৬শ মামলা হওয়া উচিত ছিল।’ এ প্রসঙ্গে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমি আইনজ্ঞ না হয়েও বলছি, যদি ১৬শ মামলা হয়, তাহলে আধুনিক বিচারব্যবস্থায় এসব মামলার বিচার হতে ১৬শ বছর লাগবে। বরং বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচারের জন্য একটি মামলাই যথেষ্ট। আর কোনো সৎ সাহসী সরকার হলে ১৬ ঘণ্টায় এই বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব।’
চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও মানুষের আকাঙ্ক্ষা কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কথা বলছি, আমি প্রশ্ন করতে চাই, যে প্রত্যাশা নিয়ে চব্বিশের জুলাই–আগস্ট এসেছিল, আজকের জুলাই–আগস্টে তার কতটা পূরণ হয়েছে? দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের সময়ে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, সেটা কি পূরণ হয়েছে? কেন আমাদের উত্তরণ হয়নি, সেই প্রশ্ন করতে হবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কথা সবাই বললেও কেউ শহীদদের ধারণ করছে না বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের গল্প অনেকটা একাত্তরের গল্পের মতো হয়ে যাচ্ছে। সবাই বলছে, কিন্তু শহীদদের কেউ ধারণ করছে না। এসব চিহ্ন দেখলে মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে নতুন বন্দোবস্ত হচ্ছে না। বরং আমরা পুরোনো ধারায় থেকে যাব। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো শহীদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল।’
রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতায় বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শনিবার সকালে