মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব
Published: 20th, April 2025 GMT
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সামার ২০২৫ সেমিস্টারের ভর্তি মেলা শুরু হয়েছে। মেলা উপলক্ষে ভর্তি ফিতে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় উপহার।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে ক্যারিয়ার ও উচ্চ শিক্ষাবিষয়ক আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ভর্তি মেলা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের গ্র্যাজুয়েট ও বর্তমানে গ্রিন টেলিভিশনের ব্রডকাস্ট অপারেশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ম্যানেজার এবং ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও মোহনা টেলিভিশনের কনসালট্যান্ট কাজী হাসানুজ্জামান, ফার্মেসি বিভাগের গ্র্যাজুয়েট ও বর্তমানে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার আলিমুজ্জামান, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের গ্র্যাজুয়েট ও বর্তমানে এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সোহরাব মাহাদী, ইইই বিভাগের গ্র্যাজুয়েট ও বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের এটুআই প্রকল্পের ডোমেইন অফিসার আজিজুল হক রিফাত, ইংরেজি বিভাগের গ্র্যাজুয়েট ও ডারল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা তানিয়া প্রমুখ।
আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলা চলাকালে ৫০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তি হওয়া যাবে। এছাড়া, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে টিউশন ফির ওপর যথারীতি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় রয়েছে। এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় যাদের দুটো মিলে চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ ১০ রয়েছে, তারা পাবেন টিউশন ফি-তে ১০০ শতাংশ ছাড়। গরিব ও মেধাবীদেরও ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রোগ্রামসমূহ : বিবিএ, বিএ (অনার্স) ইন ইংলিশ, বি ফার্ম (অনার্স), সিএসই (রেগুলার ও ইভেনিং), ইইই (রেগুলার ও ইভেনিং), এলএলবি (অনার্স), ব্যাচেলর অব জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, বিএ (অনার্স) ইন ইসলামিক স্টাডিজ (রেগুলার ও সাপ্তাহিক), এমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবংএমএ ইন ইংলিশ (ইভেনিং)।
ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীরা- ০১৭৮০৩৬৪৪১৪-১৫, ০১৭০৯১২৬৩৯৪, ০১৮১৯২৪৫৮৯৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
ভোলার ভ্যাপসা গরম, দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সদর রোডজুড়ে তীব্র যানজট নাগরিক জীবনকে ব্যস্ত করে ফেলে। গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ একটু স্বস্তি খোঁজে। আর সেই স্বস্তি এনে দিতে পারে ভোলার বিখ্যাত বৈষা দধি।
দুপুরের আগেই সব দোকানের হাঁড়ি ফাঁকা হয়ে যায়। মহিষের কাঁচা দুধে পাতানো এই দই ভোলার স্বাদ, ইতিহাস ও গর্বের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ।
ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়। এই দইয়ের বিশেষত্ব হলো, মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে এটি পাতা হয়। বাজারে সচরাচর যে দই পাওয়া যায়, সেসব তৈরি হয় গরুর দুধ দিয়ে এবং দুধ জ্বালিয়ে গাঢ় করে। কিন্তু ভোলার বৈষা দধি হয় মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে।
জলবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার এক অমূল্য সম্পদ মহিষ। পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া, উত্তরে ইলিশা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর—এই চার নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার মহিষ। সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি, তবে স্থানীয় লোকজনের মতে তা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এই মহিষের দুধই বৈষা দধির প্রাণ।
প্রায় দুই শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকে এই দই। এ ছাড়া অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম প্রধান উপাদান এটি। উৎসব-পার্বণ, বিয়েশাদি কিংবা যেকোনো সামাজিক আয়োজনে বৈষা দধি ছাড়া যেন ভোলার কোনো উৎসব পরিপূর্ণতা পায় না।
মুহাম্মদ শওকাত হোসেনের ‘ভোলা জেলার ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, দুই শ বছর আগে থেকে ভোলায় চর জাগতে শুরু করে। বসতি হয়, মহিষ পালন শুরু হয়। দুধ সংরক্ষণের উপায় ছিল না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দই বানাতেন। সেখান থেকেই বৈষা দধির যাত্রা শুরু, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো অঞ্চলে।
ভোলার মানুষের খাদ্যসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এই দই। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়, চিড়া-মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক খাবার, আবার গরমের দিনে দই, পানি ও চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ঘোল—যা শরীরকে শীতল রাখে। শীতকালে হাঁসের মাংসের সঙ্গে টক দই ও খেজুরের গুড়—ভোলার ভোজনরসিকদের কাছে এক অনন্য স্বাদ। পান্তাভাতের সঙ্গে দই ও খেজুরের গুড় এই অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি খাবার।
বর্তমানে প্রতি কেজি বৈষা দই বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তবে ঈদে দাম বেড়ে যায়। ঈদের আগেই বিক্রেতারা দুধ জমাতে শুরু করেন এবং এ সময়ে প্রতিদিন ৮০০–৯০০ কেজি পর্যন্ত দই বিক্রি হয়।
ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়