হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, কী বলছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা
Published: 20th, April 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ দুই সপ্তাহ আগে তিন কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলেন। মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার থেকে কেনা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০ টাকা। আজ রোববার তিনি আবার একই বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন, তবে এবার দাম দিতে হয়েছে কেজিতে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। পেঁয়াজের দাম বাড়ল ৩০ শতাংশ।
মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একদিকে, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল, চালের দাম অনেক দিন ধরে চড়া, সবজির দামও আগের তুলনায় বেশি। এখন পেঁয়াজের দামও বাড়ল।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পেঁয়াজচাষি, ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা প্রায় একই রকম তথ্য দিয়েছেন। তাঁরা জানান, জমিতে এখন আর কোনো পেঁয়াজ নেই। সব পেঁয়াজ কৃষকের ঘরে উঠে গেছে। এসব পেঁয়াজের বেশির ভাগই কৃষক নিজেরা ও মজুতদারেরা কিনে সংরক্ষণ করছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দাম আরও বাড়বে, এমন আশায় তাঁরা বাজারে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আনছেন। এসব কারণে পেঁয়াজের মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও বাজারে পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে।
আজ রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা যায়, এই তিন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাড়া-মহল্লায় সব ধরনের পেঁয়াজেই ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দাম রাখা হয়। এসব পেঁয়াজ মূলত ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জ এলাকার। তবে পাবনায় উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম আরেকটু বেশি, কেজি ৭০ টাকার আশপাশে।
বিক্রেতারা জানান, দুই সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কম ছিল। অর্থাৎ তখন এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। বাজারে বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ একেবারে কম। দু-এক দোকানে যা পাওয়া যায়, সেগুলোর কেজি ৫৫ টাকার আশপাশে।
পেঁয়াজের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যেও উঠে এসেছে। টিসিবির হিসাবে, গত সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৫০ টাকা। চলতি সপ্তাহে এই দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৬৫ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ টিসিবির হিসাবেও কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে, গত বছর এ সময় পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
ঢাকায় পেঁয়াজের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদনস্থলেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো.
দেশে পেঁয়াজের অন্যতম বড় উৎপাদনস্থল ও পাইকারি বিক্রির স্থান (মোকাম) হলো পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা। এই উপজেলায় গত শনিবার প্রতি মণ পেঁয়াজ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় (কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা) বিক্রি হয়েছে। অথচ সপ্তাহ দুয়েক আগেও এই পেঁয়াজের দাম ছিল মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা (কেজি ৩০ থেকে ৩৮ টাকা)। অর্থাৎ প্রতি মণে দাম বেড়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
বর্তমানে ঢাকার বাজারে ফরিদপুর এলাকার পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ফরিদপুরের পাইকারি বাজারে মণপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। গত শনিবার ফরিদপুরের অন্যতম বড় পেঁয়াজের বাজার বোয়ালমারী উপজেলার ময়েনদিয়া বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় (কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা)। পেঁয়াজের আরেক উৎপাদনস্থল মানিকগঞ্জে গত শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
অর্থাৎ দেখা যায় উৎপাদনস্থলেই প্রতি কেজি পেঁয়াজ (পাইকারি) ৪৬ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই পেঁয়াজ ঢাকার খুচরা বাজারে আসতে আসতে দাম বেড়ে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় ঠেকেছে।
দাম বাড়ার কী কারণপাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বোয়ালমারী হাটের পেঁয়াজের আড়তদার ও ব্যবসায়ী রাজা হোসেন এবং করমজা হাটের আড়তদার আবদুল মুন্নাফ জানান, ১৫ থেকে ২০ দিন আগপর্যন্ত কৃষকের জমি থেকে সরাসরি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। এখন জমিতে আর কোনো পেঁয়াজ নেই। সব পেঁয়াজ কৃষকের ঘরে উঠে গেছে। এসব পেঁয়াজের বেশির ভাগই কৃষকেরা সংরক্ষণের জন্য মজুত করেছেন। আবার অনেক মজুতদারও সংরক্ষণের জন্য পেঁয়াজ কিনেছেন। কৃষক ও মজুতদারেরা দাম বাড়ার আশায় বাজারে পেঁয়াজ কম ছাড়ছেন।
অন্যদিকে, কৃষকেরা এবার চাষের খরচ তুলতে পেঁয়াজ তোলার মৌসুমে হাটে একসঙ্গে বেশি পেঁয়াজ এনেছিলেন। অর্থাৎ কৃষকেরা সংরক্ষণের অনুপযোগী পেঁয়াজ যা পেয়েছেন, সবই বাজারে এনেছেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় পেঁয়াজের দাম কম ছিল। তবে এখন কৃষকের ঘরে বাছাই করা পেঁয়াজ মজুত আছে, যা লম্বা সময় ধরে সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে তাঁরা বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
এ ছাড়া চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ তেমন আসছে না। এ কারণে দেশি পেঁয়াজের বেশ চাহিদা রয়েছে। এই সুযোগে কৃষকেরা কিছুটা দাম বাড়াতে পেরেছেন।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কয়ড়া গ্রামের পেঁয়াজচাষি মো. রুবেল হোসেন জানান, তিনি এ বছর দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। তবে রোজার মাসে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসের কারণে পেঁয়াজ গাছ নুয়ে পড়ে। এতে ফলন কম হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় তিনি বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রেখেছেন। কয়েক দিন পরে তা বিক্রি করবেন।
এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বড় লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন কৃষক। যেমন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খোয়ার গ্রামের পেঁয়াজচাষি মাফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমরা মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম পাইনি। অনাবৃষ্টির কারণে তিন দফা সেচ দিতে হয়েছে। ফলে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এখন দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে। তবে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ৩ হাজার (কেজি ৭৫ টাকা) না হওয়া পর্যন্ত আমরা লাভজনক অবস্থায় যেতে পারব না।’
ফরিদপুর জেলার জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বেশি দামের আশায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছেন বলে বাজারে পেঁয়াজ কম আসছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর; প্রতিনিধি, বেড়া, পাবনা ও প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ)
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ উপজ ল র ব যবস য় আড়তদ র ৫৫ ট ক ৬৫ ট ক উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হই হই অবস্থা, প্রস্তুতি না নেওয়া আত্মঘাতী
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হই হই অবস্থার মধ্যে রয়ে গেছে। সকালের খবরে দেখলাম, হয়তো গুজব, যে আজকেই শুরু হয়ে যাবে যুদ্ধ। প্রস্তুতি না নেওয়াটা আত্মঘাতী। আধাআধি প্রস্তুতির কোনো জায়গা নাই।’
গতকাল বুধবার রাজধানীর বীরউত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। খবর বিবিসি বাংলা ও বাসসের।
নিজেকে ‘যুদ্ধবিরোধী মানুষ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক– এটা আমরা কামনা করি না।’ যুদ্ধের প্রস্তুতি অনেক সময় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়– এ রকম ধারণার বিষয়ে ঘোরতর আপত্তির কথা জানান ড. ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্ব আগামী দিনের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিমানবাহিনীর সব সদস্যের প্রতি যুগোপযোগী ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জন এবং পেশাগত ও কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি অব্যাহত মনোযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা একটা নিরাপদ, উন্নত ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার, রাডার সংযোজনের জন্য বিমানবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিতভাবে বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অনুশীলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জ্ঞান-দক্ষতাকে যুগোপযোগী করতে সদা সচেষ্ট রয়েছেন।’
তিনি দেশের বিমানবন্দরগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
মহড়া কেবল একটি সাময়িক অনুশীলনই নয় উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিমানবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় বহন করে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছলে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। অনুষ্ঠানস্থলে বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার
গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘর বিতরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব ঘর বিতরণ করেন।
ওই বন্যায় অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম। অসংখ্য বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নির্মাণের সামর্থ্য নেই, এ রকম তিনশ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ঘর পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুটি কক্ষ, কমন স্পেস, শৌচাগার, রান্নাঘরসহ বারান্দা রয়েছে। ৪৯২ বর্গফুট আয়তনের ঘরে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৪ টাকা এবং ৫০০ বর্গফুটের ঘরে প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেনাবাহিনী ঘরগুলো নির্মাণ করেছে।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত ও বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে এগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘দেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বছরে ১ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।’