যৌন হয়রানি নিয়ে বেরোবি প্রক্টরের বক্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক
Published: 21st, April 2025 GMT
যৌন হয়রানি নিয়ে বক্তব্য দিয়ে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।  
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে সোমবার (২১ এপ্রিল) যৌন নিপীড়ক শিক্ষকদের প্রতীকী জুতার মালা পড়িয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
পরে সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যৌন হয়রানি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। তার এ মন্তব্য ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আরো পড়ুন:
যৌন হয়রানি: ২ বেরোবি শিক্ষকের কুশপুত্তলিকায় জুতা নিক্ষেপ
বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে কমিটি
নারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রক্টরের মতো দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে ভিকটিমকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য নারীর প্রতি অবমাননার শামিল।
ফেসবুকে ছড়িয়ে ভিডিওতে দেখা গেছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রক্টর ড.                
      
				
তিনি আরো বলেন, “এখন যাকে যৌন হয়রানি করেছে, সেও মজা নিছে। সেও পরীক্ষায় মার্ক কপচিয়েছে। যে শিক্ষকই হোক না কেন, আমিও যদি হই, তাহলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিক।”
প্রক্টর বলেন, “দুই লাইন লিখে দিক, তার সঙ্গে কি কি যৌন হয়রানি করা হয়েছে। বিচার অবশ্যই হবে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বায়বীয় অভিযোগের ভিত্তিতে কারো বিচার হবে না। এটা প্রশাসনের স্পষ্ট বক্তব্য। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। (দোষীদের) অবশ্যই বিচার হবে।”
তার এ বক্তব্য বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ার পরই অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য শুরু করেন।
ইমন সরকার নামের একজন লিখেছেন, “আগেই বলেছিলাম এই প্রক্টর কোনো কাজের না।” মোকসুদুল মমিন নামের আরেকজন লিখেছেন, “আপনারা গোপন রাখতে পারেন না, জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযোগকারীদের নাম ফ্ল্যাশ হয়ে গেছিল।”
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বেরোবি সমন্বয়ক ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিষয় দেখভালের জন্য প্রক্টর মহোদয় নিয়োজিত থাকেন। আমাদের প্রক্টর স্যারের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে অপমানজনক। উনি নিজেই বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। সেহেতু কোনো তদন্তও হয়নি।”
তিনি বলেন, “তদন্ত ছাড়াই বা অভিযোগের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ না করেই উনি বলতে পারেন না, অভিযোগদাতা মজা নিয়েছেন। যদি উনার কাছে মনে হয়ে থাকে, যৌন হয়রানির দাবি তোলা নারী শিক্ষার্থী মজা নিয়েছে বা সুবিধা হিসেবে ভালো রেজাল্ট হাতিয়ে নিয়েছে। তাহলে উনার উচিত সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শুধু তাই নয়, তিনি শিক্ষকের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেনি।”
প্রক্টরের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মজা দেওয়া-নেওয়ার কোনো সম্পর্ক হতে পারে না। যদি এ রকম কিছু হয়েও থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় উভয়পক্ষকে শাস্তির আওতায় আনা। একজন প্রক্টরের এ ধরনের মানসিকতা এবং শব্দচয়ন তার অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। সেই সঙ্গে এটিও প্রতীয়মান হয়, তিনি প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখেন না।”
বক্তব্যের ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, “প্রক্টর কি বক্তব্য দিয়েছে সেটা আমি বলতে পারবো না।”
আরো পড়ুন:
যৌন হয়রানি: ২ বেরোবি শিক্ষকের কুশপুত্তলিকায় জুতা নিক্ষেপ
বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে কমিটি
নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ: এখনও বহাল তবিয়তে বেরোবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
বেরোবি ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিযোগ
ঢাকা/আজম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ন হয়র ন র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স