‘ফ্যাসিস্ট বিচারপতি’দের অপসারণের দাবিতে সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আজ সোমবার দুপুরে এই সমাবেশ হয়।

‘ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের অপসারণ দাবিতে আইনজীবী সমাবেশ’: জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সুপ্রিম কোর্ট—ব্যানারে ওই সমাবেশ হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, হাইকোর্টের যাঁরা বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি ছাড়া করেছিলেন, দীর্ঘদিন আটকে রেখে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন, আপনারা এখনো কীভাবে বসে আছেন? আমরা তো চিন্তা করেছিলাম, এই যে ফ্যাসিস্টের দোসররা পালিয়েছে, সেই সঙ্গে আপনারাও চলে যাবেন; কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আপনারা এখনো যাননি। আপনাদের জন্য আবার আইনজীবী ফোরামকে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেরা নিজে থেকে পদত্যাগ করে চলে যান।’

ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা একদিনে ফ্যাসিস্টে পরিণত হননি। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ তাকে ফ্যাসিস্টে পরিণত করতে কাজ করেছে প্রত্যক্ষভাবে। অনেক বিচারপতি নির্লজ্জভাবে দলীয় মতাদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমকে প্রলম্বিত করার জন্য স্বেচ্ছায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়, তাকে কারাগারে প্রেরণ সব কিছু ছিল শেখ হাসিনার নির্দেশে, কিছু কিছু বিচারক সে কাজটা করেছিলেন।’

ফ্যাসিস্ট হাসিনা ৫ আগস্ট পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন উল্লেখ করে কায়সার কামাল বলেন, ‘আজ এপ্রিল মাস শেষের পথে। আমরা আশা করেছিলাম, ধারণা করেছিলাম, সেসব বিচারক—যাঁরা নিজেরাও জানেন শেখ হাসিনার ফ্যাসিজমকে প্রলম্বিত করার জন্য দিনে–রাতে মেধা–মনন দিয়ে পরিশ্রম করেছেন, কোনো কোনো বিচারক স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ জিয়াকে তাদের রায়ে ডাকাত বলে সম্বোধন করেছিলেন, আমরা বলেছিলাম বিবেকের তাড়নায় স্বেচ্ছায় এই পবিত্র অঙ্গন থেকে তারা চলে যাবেন। দুঃখনজক হলেও সত্য তারা এখনো বাড়িতে যাননি; বরং কিছু কিছু বিচারক আরও প্রমোশনের আশায় বহাল তবিয়তে আছেন। অনতিবিলম্বে তাদের ব্যাপারে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদলের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মো.

রুহুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম এবং সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জামিল আক্তার এলাহী ও মাহমুদুল আরেফিন বক্তব্য দেন। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্য সচিব গাজী তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে বাংলাদেশ আইন সমিতির আহ্বায়ক মনির হোসেন, ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মনিরুজ্জামান আসাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ আল মামুন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক মো. মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব চ রপত আইনজ ব কম ট র কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল 

বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।

তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড