রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও তাঁর স্ত্রী–সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 22nd, April 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, তাঁর স্ত্রী শাহীন আকতার ও তাঁদের মেয়ে আনিকা ফারিহা জামানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর ১১ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ২৪৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মেয়ে আনিকা ফারিহা জামানের বিরুদ্ধে মামলায় ৬ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৫২ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৮০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। আর তাঁদের মেয়ে আনিকা ফারিহার ৫টি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
গত মার্চ মাসে দুদকের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে খায়রুজ্জামান লিটন এবং তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অভিযোগ করে তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান খায়রুজ্জামান লিটন। ওই দিনই এ বাড়িতে হামলা করা হয়। বাড়ির সবকিছুই লুট হয়ে যায় সেদিন। পরের দিন বাড়িটির দরজা-জানালাও খুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এর পর থেকে শুধু দালানটি দাঁড়িয়ে ছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়িটির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ঞ ত আয়বহ র ভ ত
এছাড়াও পড়ুন:
জেমকন গ্রুপের দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করবে দুদক
প্রায় ১১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদ এবং তাঁর ভাই কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক সূত্র জানায়, প্রথম মামলায় কাজী আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হবে। একই সঙ্গে তাঁর নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ৭৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগও করা হবে।
অন্য মামলায় কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হবে। এ ছাড়া তাঁর নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক বলছে, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হবে।