ওয়ালপ্যাড ৯জি: অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ ওয়ালটনের নতুন অ্যান্ড্রয়েড
Published: 23rd, April 2025 GMT
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন ট্যাবলেট ‘ওয়ালপ্যাড ৯জি’। অত্যাধুনিক ফিচারে সাজানো এই ট্যাব গ্রাহকদের দিচ্ছে শক্তিশালী স্পেসিফিকেশন, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যের এক চমৎকার সমন্বয়।
গেমিং, অনলাইন মিটিং বা ক্লাস, বিনোদন কিংবা অফিসের কাজসহ নানান প্রয়োজনে এই ট্যাবলেট হতে পারে গ্রাহকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পার্টনার।
অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত ‘ওয়ালপ্যাড ৯জি’ ট্যাবটিতে ব্যবহৃত হয়েছে হেলিও জি৯৯ অক্টাকোর প্রসেসর, যার সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড ২.
আরো পড়ুন:
ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করার উদ্যোগ ওয়ালটনের
ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটনের এআই-সমৃদ্ধ স্মার্ট প্রযুক্তি পণ্যের প্রদর্শনী
এই ট্যাবে গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৪ জিবি এলপিডিডিআরফোর র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.১ স্টোরেজ, যা টিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। মালি-জি৫৭ জিপিইউ থাকায় গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারে গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স হবে আরো উন্নত ও সাবলীল।
ছবি তোলা, ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও কল কিংবা অনলাইন মিটিং ও ক্লাস- সব কিছুর জন্য রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল ও ৫ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরার পাশাপাশি ডুয়াল স্পিকার, যা ভিডিও কনফারেন্স কিংবা সেলফির জন্য যথেষ্ট কার্যকর। দীর্ঘ সময় ব্যবহার নিশ্চিত করতে রয়েছে ৫১০০ এমএএইচ ব্যাটারির সঙ্গে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধাসহ ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। ফলে দ্রুত চার্জে দীর্ঘসময় কাজ করার অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।
নেটওয়ার্ক ও কানেক্টিভিটির দিক থেকেও ওয়ালপ্যাড ৯জি বেশ পরিপূর্ণ। এতে রয়েছে ২জি, ৩জি ও ৪জি সাপোর্ট, ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৫.২, হাইব্রিড সিম স্লট এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। এছাড়াও রয়েছে জিপিএস, জি-সেন্সর, লাইট সেন্সর, হল সেন্সর এবং কম্পাসের মতো প্রয়োজনীয় সেন্সর সাপোর্ট।
ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, “আমরা সবসময় গ্রাহকচাহিদাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে পণ্য বাজারজাত করে থাকি। নতুন ‘ওয়ালপ্যাড ৯জি’ ট্যাবটির কনফিগারেশন এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যা গ্রাহকদের জন্য হবে পাওয়ারফুল পারফরম্যান্সে বাজেট ফ্রেন্ডলি সলিউশন। আশা করছি আধুনিক জীবনযাপনে ট্যাবটি গ্রাহকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হবে।”
বর্তমানে ওয়ালপ্যাড ৯জি ১০% ডিসকাউন্টে মাত্র ১৬ হাজার ৬৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে সকল ওয়ালটন প্লাজাতে। এছাড়া ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://waltondigitech.com/products/tablet/android-tab/walpad-9g) ভিজিট করে অনলাইনে সরাসরি অর্ডার করার সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহকরা। গ্রে রঙের ট্যাবটির সাথে থাকছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি ও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য আফটার-সেলস সার্ভিসের নিশ্চয়তা।
ঢাকা/অগাস্টিন সুজন/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
খেলার নামে আদম পাচার ঠেকাতে তৎপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
বিদেশে খেলোয়াড় পাঠানোর নামে মানব পাচারের ঝুঁকি রোধ এবং যোগ্য খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম চালু করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ৯ অক্টোবর এনএসসি এক চিঠিতে ফেডারেশনগুলোকে জানিয়েছে, এখন থেকে বিদেশে ক্রীড়া দল পাঠানোর আগে ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে ফ্লাইটের কমপক্ষে ১০ দিন আগে জিওর (সরকারি আদেশ) জন্য প্রস্তাব পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও পারফরম্যান্স–সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রও এনএসসিকে দিতে হবে।
অভিযোগ আছে, কিছু ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অনেক বছর ধরেই দলের সঙ্গে ভুয়া খেলোয়াড়-কর্মকর্তা পাঠিয়ে আদম পাচার করে আসছে। দুই একটা ঘটনা সামনে এলেও এসবের বেশির ভাগই থেকে যায় আড়ালে। ছোট খেলাগুলো থেকেই এ ধরনের অভিযোগ বেশি আসে। এনএসসির একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত এ ধরনের অপকর্ম ঠেকাতেই বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে ফ্লাইটের অন্তত ১০ দিন আগে জিওর প্রস্তাব পাঠানোর নিয়ম করা হয়েছে। এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) আমিনুল এহসান সরাসরি তা না বললেও তাঁর কথায়ও সে আভাস আছে, ‘আমি বলব না শুধু আদম পাচার রোধ করতে এই নিয়ম করেছি। তবে কোথাও কোথাও এসব খেলার নামে মানব পাচারের প্রশ্ন চলে আসে।’
অনেক সময় শুনি, কোনো কোনো ফেডারেশন ভুয়া খেলোয়াড় নিয়ে যায়। এনএসসির উদ্যোগটাকে তাই ভালোই বলব। এটা জবাবদিহির মধ্যে পড়ে।ফারহাদ জেসমিন, সাবেক অ্যাথলেট ও বিএও অ্যাথলেটস কমিশনের চেয়ারম্যানএনএসসির কাছে ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশন এত দিন জিওর জন্য খেলোয়াড়দের নামই শুধু পাঠাত। যাঁর নাম দেওয়া হতো, তিনি আসলেই খেলোয়াড় কি না বা খেলোয়াড় হলে তাঁর যোগ্যতা কী বা যোগ্য কাউকে বাদ দিয়ে অযোগ্য কাউকে নেওয়া হচ্ছে কি না, এসব যাচাই–বাছাই করা হতো না। এনএসসি তাই জানত না কিসের ভিত্তিতে একজন খেলোয়াড়কে দলে নির্বাচিত করা হয়েছে। নতুন নিয়মে এনএসসিকে এসব দিতে হবে।
জিওর জন্য আবেদনকারীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে সময় লাগে বলে ১০ দিন আগে তালিকা চাওয়ার যুক্তি আছে। কিন্তু পারফরম্যান্স আর ফিটনেসের তথ্যপ্রমাণও পাঠানোর নিয়মটা একটু অভিনবই, যা নিয়ে অবশ্যই নানা রকম প্রশ্ন তোলা যায়। তবে জিওর জন্য ফ্লাইটের ১০ দিন আগে নাম চাওয়ার নিয়মটাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাথলেটস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক অ্যাথলেট ফারহাদ জেসমিন লিটি বলেছেন, ‘অনেক সময় শুনি, কোনো কোনো ফেডারেশন ভুয়া খেলোয়াড় নিয়ে যায়। এনএসসির উদ্যোগটাকে তাই ভালোই বলব। এটা জবাবদিহির মধ্যে পড়ে।’
আরও পড়ুনবিশ্বকাপের আগে সৌদি লিগে খেলতে চেয়েছিলেন মেসি, সৌদি সরকারের ‘না’১১ ঘণ্টা আগেআদম পাচার যেহেতু সব ফেডারেশন করে না, ক্রিকেট-ফুটবলসহ অনেক ফেডারেশনের জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়দের তথ্য এনএসসিকে দেওয়াটা বিব্রতকর হতে পারে। কারণ, এই ফেডারেশনগুলো একটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দল গড়ে। তাদের সব তথ্য চাওয়া ফেডারেশনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ কি না, এমন প্রশ্ন আসেই।ক্রীড়াঙ্গনে স্বজনপ্রীতি ঠেকাতেও এ নিয়ম ভূমিকা রাখবে বলে ফারহাদ জেসমিনের আশা, ‘অনেক ফেডারেশন অনেক সময় যোগ্যতার বিচার না করে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড় নিয়ে যায়। দেখে মনে হয়, বিদেশভ্রমণই মুখ্য, পারফরম্যান্স মুখ্য নয়।’ বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ‘এটা ভালো উদ্যোগ। কারণ, এনএসসির জানার অধিকার আছে, বিদেশে টুর্নামেন্টে আমরা কাদের নিয়ে যাচ্ছি।’ সম্প্রতি হকি তারকা রাসেল মাহমুদকে বয়সের অজুহাতে বাদ দেয় হকি ফেডারেশন। এ নিয়ে সমালোচনা হলে এনএসসিকে বিষয়টি তদন্তও করতে হয়।
এনএসসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেট-ফুটবলসহ সব খেলাতেই বিদেশে দল পাঠানোর জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়দের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। কিন্তু আদম পাচার যেহেতু সব ফেডারেশন করে না, ক্রিকেট-ফুটবলসহ অনেক ফেডারেশনের জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়দের তথ্য এনএসসিকে দেওয়াটা বিব্রতকর হতে পারে। কারণ, এই ফেডারেশনগুলো একটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দল গড়ে। তাদের সব তথ্য চাওয়া ফেডারেশনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ কি না, এমন প্রশ্ন আসেই।
আরও পড়ুনআগে চা পরে লাঞ্চ—বদলে যাচ্ছে ক্রিকেটের শতবর্ষ পুরোনো এক রীতি১৫ ঘণ্টা আগেএনএসসির পরিচালক আমিনুল এহসান অবশ্য তা মনে করেন না, ‘প্রায় প্রতিদিনই এনএসসির কাছে অনেক খেলোয়াড় অভিযোগ করেন, কোনো না কোনো কর্মকর্তার অপছন্দের কারণে নাকি তিনি দল থেকে বাদ পড়েছেন। এ কারণেই খেলোয়াড় নির্বাচনের তথ্যগুলো এনএসসির জানা থাকলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে একটা উত্তর দেওয়া যায়। এটা ফেডারেশনের কাজে হস্তক্ষেপ নয়। স্বচ্ছতার স্বার্থে এনএসসি তা জানতে চাইতে পারে।’