ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগে আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেএসপিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তারা ৫ উইকেটে হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে। মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেড ১০ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। মোহামেডান ও আবাহনীর জয়ের দিনে জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সৌম্য সরকারের অনবদ্য ১৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে তারা অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারায় ১০৩ রানে।

গুলশান ক্রিকেট ক্লাব মোহামেডানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.

৪ ওভারে মাত্র ২২৪ রানে অলআউট হয়। জবাব দিতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৭১ ও তাওহীদ হৃদয়ের ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৬.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে মোহামেডান।

আরো পড়ুন:

বিজয়ের সেঞ্চুরির ফিফটি, মোহামেডান-আবাহনীর জয়

মোহামেডানে খেলবেন মোস্তাফিজ 

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আবাহনী আগে ব্যাট করতে নেমে শাহরিয়ার কমলের ৯৬, পারভেজ হোসেন ইমনের ৪৫ ও এসএম মেহরবের ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৮.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রানে অলআউট হয়। জবাবে এনমুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরির পরও ৪৯.৩ ওভারে ২৩৯ রানে থামে গাজী গ্রুপ। বিজয় ১১৩ বলে ৯ চারে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া ওয়াসি সিদ্দিকী ৩৮ ও শামসুর রহমান করেন ২৭ রান।

অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে রূপগঞ্জ আগে ব্যাট করতে নামে। সৌম্যর ১৭টি চার ও ৬ ছক্কায় করা অপরাজিত ১৫৩, আফিফ হোসেনের অপরাজিত ৪৯, সাইফ হাসানের ৪৩ ও তানজিদ হাসানের ৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে মাত্র ৩ উইকেটে ৩৩৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে। এরপর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৩.১ ওভারে অগ্রণী ব্যাংককে অলআউট করে ২৩০ রানে। অগ্রণীর মার্শাল আইয়ুব সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন। এছাড়া শুভাগত হোম ৩৯ ও ইমরানুজ্জামান করেন ২৯ রান।

সুপার লিগের দুই রাউন্ড শেষে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী যথারীতি আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। ২২ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স অবস্থান করছে তৃতীয় স্থানে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন র ইন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২

লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিনেই জমে উঠেছে খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্কের দৃঢ়তায় ২০৭ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৮২ রান।

ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন চারটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট তুলে নেন এই প্রোটিয়া গতিতারকা। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটার হিসেবে অপরাজিত ছিলেন মিচেল স্টার্ক, খেলেছেন ৫৮ রানের কার্যকরী ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ ও বেউ ওয়েবস্টার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। জবাবে কামিন্সের আগুনে পেসে ১৩৮ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭৩ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় তারা। একে একে ব্যর্থ হন উসমান খাজা (৬), ক্যামেরুন গ্রিন (০), ট্র্যাভিস হেড (৯), স্টিভ স্মিথ (১৩) ও কামিন্স (৬)। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক। অষ্টম উইকেটে দুজন গড়েন ৬১ রানের জুটি। ক্যারি করেন ৪৩ রান, স্টার্ক তুলে নেন ফিফটি।

শেষ উইকেটে জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে আরও একবার প্রতিরোধ গড়েন স্টার্ক। দুইজন মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ২০০ পেরিয়ে। শেষ পর্যন্ত হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন এইডেন মার্করাম।

এখন প্রোটিয়াদের সামনে সুযোগ ইতিহাস গড়ার। প্রথমবারের মতো টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে তাদের প্রয়োজন ২৮২ রান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অজিদের হারিয়ে টেস্টের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা 
  • ২৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দ. আফ্রিকা
  • ২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২
  • প্রোটিয়াদের গুড়িয়ে দিলেন কামিন্স