Prothomalo:
2025-06-16@08:28:28 GMT

লাল ফলে রাঙা হাসি ‘উদাল’গাছে

Published: 24th, April 2025 GMT

তখন ধীরে ধীরে রোদ বাড়ছে। সকালের হালকা রোদে জড়িয়ে আছে মিঠে ভাব। একটা কোমল শান্তি-প্রশান্তি আছে প্রকৃতিতে, শহরের এলোমেলো দালানকোঠার অলিতে-গলিতে। পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছে গাছে মৃদু হাওয়ার টোকা, পাতায় শান্ত কোলাহল ফুটছে।

এ রকম শান্ত সময়টিতে একটা জায়গায় চোখ আটকে যায়। সেই ‘তোমার অশোকে কিংশুকে/ অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে’.

..রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনের ভেতর স্তব্ধতা ভেঙে বেজে উঠলেন, গুনগুনিয়ে উঠল কথামালা, সুর। জায়গাটিতে আরও কিছু গাছের ভেতরে একটি গাছে থোকা থোকা আগুনের মৃদু শিখা যেন থমকে আছে, দুলছে। গাছটির ডালে কোনো পাতা নেই। দূর থেকে দেখেও মনে হয় ‘চিনি উহারে’। দেখতে অশোক-কিংশুক মনে হলেও ওটা তা নয়, ওটা অন্য কিছু।

মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট রোড থেকে পশ্চিম দিকে একটু ভেতরে, কোদালীছড়ার উত্তর পাশে শরীরভরা থোকা থোকা লালে রঙিন হয়ে আছে গাছটি। দুই পাশে সবুজ আরও কিছু গাছপালা আছে। সেই সবুজের ভেতর গাছটি আলাদা। ওটা আসলে একটি ‘উদাল’গাছ। গাছটি অনেকের কাছেই অচেনা। শহর, গ্রাম কোনোখানেই খুব বেশি চোখে পড়ে না এখন উদাল। আর গাছের ডালে ডালে লাল রঙের যেটুকু উচ্ছ্বাস, তা এই গাছের ফুল নয়। এগুলো উদালগাছের ফল। ফুল অন্য রকম। ফুল কমলা-হলুদে মাখা, ঝুলন্ত মঞ্জরিতে গুচ্ছবদ্ধ থাকে। এখন ফুল নেই, ফুল ঝরে গেছে।

২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী উদাল প্রজাতি সংরক্ষিত।

ফুল যে ঝরে গেছে, তা দেখা গেছে শহরের আরও দু-একটি গাছে। তার একটি মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়ার্টারে। একটি বাসার গাছে তখন লাল ফল ঝুলছিল। এক সকালবেলা গাছটিতে দেখা গেছে, অনেকগুলো কাঠশালিক ফলের ওপর এসে বসছে, এ–ডাল থেকে ও–ডালে উড়ে যাচ্ছে। দু-একটা বুলবুলিও ছিল। পাখিগুলো কোথা থেকে আসে, আবার হঠাৎ চলে যায়।

শহরের সৈয়ারপুর এলাকার মাঝেরহাটি সড়কে আরও একটি গাছে একইভাবে লাল ফল ঝুলে আছে। কিছু ফল তখনো কাঁচা, দেখতে অনেকটা বাঁকা লোমশ শক্ত শিমের মতো। হয়তো অনেকের চোখে পড়ে গাছগুলো, কেউ হয়তো মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে দেখেন। কারও হয়তো চোখ এড়িয়ে যায়। প্রকৃতি এ রকমই, তার আপন খেয়ালে আছে।

উদালের প্রিয় আবাসভূমি হচ্ছে পাহাড়ি এলাকা। সে কারণে উদালের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের খুব একটা চেনা জানা নেই

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

দুই বাংলাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: জয়া আহসান

দীর্ঘ সময় পর ঈদুল আজহায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত দুটি সিনেমা। একটি রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’, অন্যটি তানিম নূরের ‘উৎসব’। সেই আমেজ না কাটতেই কলকাতার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া। গত শনিবার মহরতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং। প্রথম পর্ব ‘অর্ধাঙ্গিনী’র মতো এবারও জয়ার সঙ্গে থাকছেন কৌশিক সেন ও চূর্ণী গাঙ্গুলী। এই তিনজনের সঙ্গে নতুন পর্বে যুক্ত হচ্ছেন ইন্দ্রাশিস রায়।

গল্পের পটভূমি সম্পর্কে জানা যায়, সুমনের (কৌশিক) অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে তার সাবেক স্ত্রী শুভ্রা (চূর্ণী) ও বর্তমান স্ত্রী মেঘনার (জয়া) দেখা হওয়া এবং টানাপোড়েনকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল অর্ধাঙ্গিনীর পটভূমি। আগের ঘটনার বছর দুয়েক পর একটা বিয়েকে কেন্দ্র করে আবার মুখোমুখি হয় সুমন, শুভ্রা ও মেঘনা।

জয়া আহসান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ