Prothomalo:
2025-08-02@06:34:42 GMT

লাল ফলে রাঙা হাসি ‘উদাল’গাছে

Published: 24th, April 2025 GMT

তখন ধীরে ধীরে রোদ বাড়ছে। সকালের হালকা রোদে জড়িয়ে আছে মিঠে ভাব। একটা কোমল শান্তি-প্রশান্তি আছে প্রকৃতিতে, শহরের এলোমেলো দালানকোঠার অলিতে-গলিতে। পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছে গাছে মৃদু হাওয়ার টোকা, পাতায় শান্ত কোলাহল ফুটছে।

এ রকম শান্ত সময়টিতে একটা জায়গায় চোখ আটকে যায়। সেই ‘তোমার অশোকে কিংশুকে/ অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে’.

..রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনের ভেতর স্তব্ধতা ভেঙে বেজে উঠলেন, গুনগুনিয়ে উঠল কথামালা, সুর। জায়গাটিতে আরও কিছু গাছের ভেতরে একটি গাছে থোকা থোকা আগুনের মৃদু শিখা যেন থমকে আছে, দুলছে। গাছটির ডালে কোনো পাতা নেই। দূর থেকে দেখেও মনে হয় ‘চিনি উহারে’। দেখতে অশোক-কিংশুক মনে হলেও ওটা তা নয়, ওটা অন্য কিছু।

মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট রোড থেকে পশ্চিম দিকে একটু ভেতরে, কোদালীছড়ার উত্তর পাশে শরীরভরা থোকা থোকা লালে রঙিন হয়ে আছে গাছটি। দুই পাশে সবুজ আরও কিছু গাছপালা আছে। সেই সবুজের ভেতর গাছটি আলাদা। ওটা আসলে একটি ‘উদাল’গাছ। গাছটি অনেকের কাছেই অচেনা। শহর, গ্রাম কোনোখানেই খুব বেশি চোখে পড়ে না এখন উদাল। আর গাছের ডালে ডালে লাল রঙের যেটুকু উচ্ছ্বাস, তা এই গাছের ফুল নয়। এগুলো উদালগাছের ফল। ফুল অন্য রকম। ফুল কমলা-হলুদে মাখা, ঝুলন্ত মঞ্জরিতে গুচ্ছবদ্ধ থাকে। এখন ফুল নেই, ফুল ঝরে গেছে।

২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী উদাল প্রজাতি সংরক্ষিত।

ফুল যে ঝরে গেছে, তা দেখা গেছে শহরের আরও দু-একটি গাছে। তার একটি মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়ার্টারে। একটি বাসার গাছে তখন লাল ফল ঝুলছিল। এক সকালবেলা গাছটিতে দেখা গেছে, অনেকগুলো কাঠশালিক ফলের ওপর এসে বসছে, এ–ডাল থেকে ও–ডালে উড়ে যাচ্ছে। দু-একটা বুলবুলিও ছিল। পাখিগুলো কোথা থেকে আসে, আবার হঠাৎ চলে যায়।

শহরের সৈয়ারপুর এলাকার মাঝেরহাটি সড়কে আরও একটি গাছে একইভাবে লাল ফল ঝুলে আছে। কিছু ফল তখনো কাঁচা, দেখতে অনেকটা বাঁকা লোমশ শক্ত শিমের মতো। হয়তো অনেকের চোখে পড়ে গাছগুলো, কেউ হয়তো মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে দেখেন। কারও হয়তো চোখ এড়িয়ে যায়। প্রকৃতি এ রকমই, তার আপন খেয়ালে আছে।

উদালের প্রিয় আবাসভূমি হচ্ছে পাহাড়ি এলাকা। সে কারণে উদালের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের খুব একটা চেনা জানা নেই

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ