শিশুকে সুজির সঙ্গে চিনি খাওয়ালে যা হতে পারে
Published: 24th, April 2025 GMT
অনেক সময় বাবা মায়েরা সুজির সঙ্গে চিনি মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান। তারা মনে করেন, শিশু খেতে চাচ্ছে না, একটু চিনি দিয়ে দেই তাহলে খেতে মিষ্টি লাগবে, শিশু ভালোভাবে খাবে। কিন্তু এই অভ্যাস শিশুর সারাজীবনের খাদ্যাভাসে প্রভাব ফেলতে পারে।
ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এ এস তাজ বলেন, সুজির সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়ালে শিশু সারা জীবনের জন্য চিনির ওপর অভ্যস্ত হয়ে যাবে। চিনি ডোপামিন রিলিজ করে। তাও আবার ‘কুইক ডোপামিন’। এটি নেশা তৈরি করে। অতিরিক্ত চিনির সঙ্গে সুজির মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ালে শিশুর টেস্ট বাড পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।’’
শিশু সুজির সঙ্গে চিনি খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে—চিনি মেশানো সুজি ছাড়া শিশুর ব্রেন আর ডোপামিন রিলিজ করবে না। তার নরমাল খাবার খেতে আর ভালো লাগবে না।
এ এস তাজের পরামর্শ—
‘‘যতটা বয়স পর্যন্ত সম্ভব শিশুকে চিনিযুক্ত খাবার- চকলেট, আইসক্রিম না দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যখনই সে ডেজার্ট টাইপের খাবার খেতে চাইবে তাকে ফলমূল খেতে দিতে পারেন। শিশুরা যতদিন চিনি পাবে না ততদিন তাদের চিনির প্রয়োজনীয়তা ফিল হবে না। একটা সময় পর সে স্কুলে ভর্তি হবে তখন সে কিন্তু চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করবেই। সেটা তার স্কুলেই সীমাবদ্ধ থাকুক, বাসায় চিনিযুক্ত খাবার দেওয়ার দরকার নেই।’’
উল্লেখ্য, খাবারে অতিরিক্ত চিনির উপস্থিতি থাকলে ওই খাবার গ্রহণের পর নেশাগ্রস্ত অনুভব হয়। এতে আনন্দ লাভ করা যায়। কিন্তু শরীর অসুস্থ হতে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা হলো না রোনালদোর
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিট শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল-নাসরের। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সেমিফাইনালে জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের কাছে ৩-২ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হলো সৌদি ক্লাবটিকে।
আর প্রথমবারের মতো শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া কাওয়াসাকি ইতিহাস গড়ল প্রথম সাক্ষাতে শক্তিশালী আল-নাসরকে হারিয়ে।
সৌদির আল ইনমা ব্যাংক স্টেডিয়ামে আয়োজিত সেমিফাইনালে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে জাপানি দলটি। ম্যাচের ১০ মিনিটেই কাওয়াসাকিকে এগিয়ে দেন তাকসুয়া ইতো। তবে ১৮ মিনিট পর আল-নাসরকে সমতায় ফেরান সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে, পোস্ট কাঁপানো ডান পায়ের দারুণ শটে।
আরো পড়ুন:
মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি
রেফারিকে বরফ ছুঁড়ে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার
তবে বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে, (৪১ মিনিটে) আবারও এগিয়ে যায় কাওয়াসাকি। এবার গোল করেন ইউটো ওজেকি। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন আকিহিরো ইয়েনাগা। পরে বদলি খেলোয়াড় আইমান ইয়াহিয়া একটি গোল ফিরিয়ে দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না রোনালদোর দলের জন্য।
যোগ করা সময়ে একাই চারবার গোলের চেষ্টা করেছিলেন রোনালদো। তবে সফল হতে পারেননি একবারও। ফলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
এ জয়ের ফলে কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলে উঠে গেল ফাইনালে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে আল-নাসরেরই ঘরোয়া লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী আল-আহলি।
তিনবার সেমিফাইনালে পৌঁছেও এখনও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে পারেনি আল-নাসর। যদিও এবার রোনালদোরা চেষ্টা কম করেননি। ম্যাচে তারা মোট ২১টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল লক্ষ্যে।
রোনালদো একাই ৮টি শট নিয়েছিলেন। যার মধ্যে মাত্র ২টি ছিল লক্ষ্যে। এই আসরে যদিও তার গোলসংখ্যা দাঁড়ালো ৮-এ। একটি আসরে আল-নাসরের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এটি। যা ২০২০ সালে আবদাররাজাক হামদাল্লাহর করা সাত গোলকে ছাড়িয়ে গেছে।
ক্লাব পর্যায়ে মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় রোনালদোর এটি সেরা মৌসুম নয়। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি করেছিলেন ১৫ গোল।
ঢাকা/আমিনুল