বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
Published: 24th, April 2025 GMT
চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আর্থিক চাপে এই প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিও দুর্বল হতে পারে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লে তা ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে, যা পূর্ববর্তী পূর্বাভাসের তুলনায় কম, বলেছে বিশ্বব্যাংক।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে, যা গত অক্টোবরে করা পূর্বাভাসের চেয়ে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কম। আগামী বছরে এটি ৬ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এ অঞ্চলে কর আদায়ের হার উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় তুলনামূলক বেশি হলেও প্রকৃত কর আদায়ের হার অনেক কম।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিস্কা ওন্সর্জ বলেন, নিম্ন রাজস্বই দক্ষিণ এশিয়ার আর্থিক দুর্বলতার মূল কারণ। এটি বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
অঞ্চলের অন্যান্য দেশের প্রবৃদ্ধি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে, নেপালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে। পাকিস্তানে প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
ঢাকা/হাসান/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব দ ধ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) মোট ৩৩৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মানে হলো, এবার প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।
আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই–মার্চ মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্য অনুসারে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশের সমান।
অন্যদিকে আলোচ্য ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। আর সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
এদিকে গত জুলাই–মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
জুলাই–মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।