কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স-কালো সোনা-জলবায়ুবান্ধব অ্যাপার্টমেন্ট কী, জেনে নিন বিস্তারিত
Published: 24th, April 2025 GMT
১.
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কোন দেশ?
ক. সার্বিয়া
খ. তিমুর-লেস্তে
গ. মন্টেনিগ্রো
ঘ. কসোভো
উত্তর: খ. তিমুর–লেস্তে
২.
দেশের সব নদ–নদীকে ব্যক্তি-আইনি সত্তা/জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করে মহামান্য হাইকোর্ট আদেশ জারি করে কত সালে?
ক. ২০১৯ সালে
খ. ২০১৭ সালে
গ. ২০১৩ সালে
ঘ. ২০২১ সালে
উত্তর: ক.
৩.
ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার দায় স্বীকারকারী সংগঠন—
ক. তেহরিক–ই–জিহাদ
খ. কাশ্মীর জিহাদ ফোর্স
গ. কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স
ঘ. লস্কর–ই–জাংভি
উত্তর: গ. কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স
৪.
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সরাসরি আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় এআইকে (AI) সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে কোন দেশ?
ক. যুক্তরাষ্ট্র
খ. চীন
গ. সংযুক্ত আরব আমিরাত
ঘ. সিঙ্গাপুর
উত্তর: গ. সংযুক্ত আরব আমিরাত
আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষার শেষ সময়ের প্রস্তুতির জন্য যা যা করণীয়২০ এপ্রিল ২০২৫৫.
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান—
ক. কামাল আহমেদ
খ. সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ
গ. আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী
ঘ. ড. বদিউল আলম মজুমদার
উত্তর: খ. সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ
৬.
এ বছর বাংলাদেশে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদ্যাপন করা হয়—
ক. ২২ এপ্রিল
খ. ৪ এপ্রিল
গ. ১৫ মার্চ
ঘ. ১২ এপ্রিল
উত্তর: ক. ২২ এপ্রিল (সাধারণত প্রতিবছর ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হয়।)
৭.
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদ্যাপনে একমাত্র বিদেশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
ক. ব্রেন্ট নেইম্যান
খ. ফার্ডিনান্ড মার্কোস
গ. নামগিয়েল ওয়াংচুক
ঘ. হোসে রামোস-হোর্তা
উত্তর: ঘ. হোসে রামোস-হোর্তা (তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট)
৮.
ভ্যাটিকান সিটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়—
ক. ২০১৫ সালে
খ. ২০১২ সালে
গ. ২০১৭ সালে
ঘ. ২০০২ সালে
উত্তর: ক. ২০১৫ সালে
আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৬২২৩ এপ্রিল ২০২৫৯.
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে ‘কালো সোনা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে—
ক. কালোজিরা
খ. চা পাতা
গ. পেঁয়াজবীজ
ঘ. পাটবীজ
উত্তর: গ. পেঁয়াজবীজ
১০. পোপ ফ্রান্সিস জন্মসূত্রে কোন দেশের নাগরিক?
ক. ইতালি
খ. আর্জেন্টিনা
গ. স্পেন
ঘ. মেক্সিকো
উত্তর: খ. আর্জেন্টিনা (তিনি দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশ থেকে আসা প্রথম পোপ।)
১১.
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্যদের শপথ পাঠ করান—
ক. রাষ্ট্রপতি
খ. প্রধান বিচারপতি
গ. প্রধানমন্ত্রী
ঘ. অ্যার্টনি জেনারেল
উত্তর: খ. প্রধান বিচারপতি
১২.
‘কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট পরিবহন প্রকল্প’ কোন দুটি দেশের মধ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে?
ক. চীন, মিয়ানমার
খ. চীন, নেপাল
গ. ভারত, মিয়ানমার
ঘ. থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া
উত্তর: গ. ভারত, মিয়ানমার
আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি৩ ঘণ্টা আগে১৩.
সম্প্রতি ইউরোপের কোন দেশ জলবায়ুবান্ধব অ্যাপার্টমেন্ট চালু করেছে?
ক. সুইজারল্যান্ড
খ. ডেনমার্ক
গ. জার্মানি
ঘ. স্পেন
উত্তর: ক. সুইজারল্যান্ড
১৪.
বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্টে আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা—
ক. এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক
খ. বিশ্বব্যাংক
গ. আইএমএফ
ঘ. ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম
উত্তর: খ. বিশ্বব্যাংক
১৫.
বিখ্যাত ‘ওয়াটার লু’ যুদ্ধক্ষেত্র কোন দেশে অবস্থিত?
ক. ফ্রান্স
খ. রাশিয়া
গ. জার্মানি
ঘ. বেলজিয়াম
উত্তর : ঘ. বেলজিয়াম
১৬.
শিশুমৃত্যুর হারে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান—
ক. ১ম
খ. ২য়
গ. ৩য়
ঘ. ৪র্থ
উত্তর: গ. ৩য়
১৭.
রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনের সুরক্ষায় ‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন—
ক. কিয়ার স্টারমার
খ. উরসুলা ভন ডার লেন
গ. এমানুয়েল মাখোঁ
ঘ. ওলাফ শলৎজ
উত্তর: ক. কিয়ার স্টারমার
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, করুন আবেদন১ ঘণ্টা আগে১৮.
বিরল খনিজ মজুতের পরিমাণ হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ দেশ—
ক. ইউক্রেন
খ. গ্রিনল্যান্ড
গ. চীন
ঘ. রাশিয়া
উত্তর: গ. চীন
১৯.
বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব—
ক. বান কি মুন
খ. কফি আনান
গ. উ থান্ট
ঘ. কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
উত্তর: ঘ. কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
২০.
সম্প্রতি কোন ইউরোপীয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে?
ক. পর্তুগাল
খ. ডেনমার্ক
গ. ফ্রান্স
ঘ. নেদারল্যান্ডস
উত্তর: গ. ফ্রান্স
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একটি টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তদের দুটি উচ্চতর গ্রেড পেতে আইনি বাধা কাটল
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী দুই বা ততোধিক উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই হোক) পেয়ে থাকলে, তিনি উচ্চতর গ্রেড পাবেন না উল্লেখ করে জাতীয় বেতন স্কেল স্পষ্টীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র পুরোটাই অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক চারটি আপিল ও আটটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে এ রায় দেন।
রায়ের পর রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল প্রথম আলোকে বলেন, স্পষ্টীকরণ–সংক্রান্ত পরিপত্রের প্যারা-গ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ২০১৫ সালের জাতীয় পে–স্কেলের উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতাসংক্রান্ত প্যারা-৭ যেমন আছে, তেমনই থাকবে। স্পষ্টীকরণ পরিপত্রের প্যারা-গ-এর কারণে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাওয়ায় যে প্রতিবন্ধকতা, তা আর থাকল না। এটি না থাকার কারণে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ১৫ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ যাঁরা ২০১৫ সালের আগে একটা টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তাঁদের দুটি উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা আইনি বাধা থাকছে না।
পে-স্কেলের ৭ অনুচ্ছেদে আছে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’
এর আগে সব পর্যায়ের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো (জাতীয় পে–স্কেল)–সংক্রান্ত আদেশ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। এটি জাতীয় পে–স্কেল ২০১৫ নামে পরিচিত।
পে–স্কেলের ৭ অনুচ্ছেদে উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতা সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। ৭ (১) উপ–অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো স্থায়ী কর্মচারী পদোন্নতি ছাড়া একই পদে ১০ বছর পূর্তিতে এবং চাকরি সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১১তম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রাপ্য হবেন।
৭ (২) উপ–অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো কর্মচারী তাঁর চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রাপ্তির পর পরবর্তী ৬ষ্ঠ বছর পদোন্নতি প্রাপ্ত না হলে ৭ম বছরে চাকরি সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রাপ্য হবেন।
৭ (৩) উপ–অনুচ্ছেদের ভাষ্য, (১) ও (২) উপ–অনুচ্ছেদে উল্লেখিত আর্থিক সুবিধা বেতন স্কেলের চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে এবং চতুর্থ গ্রেড বা তার ওপরের গ্রেডের কোনো কর্মচারী এই সুবিধা গ্রহণ করে এই আদেশের অধীন তৃতীয় গ্রেড বা তার ওপরের গ্রেডে বেতন প্রাপ্য হবেন না।
আর ৭ (৪) উপ–অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী দুই বা ততোধিক সিলেকশন গ্রেড স্কেল বা উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল) বা অন্য কোনো স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছার এক বছর পর পরবর্তী উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত হয়েছেন, তিনি এই অনুচ্ছেদের অধীন উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন না।
পরিপত্রের প্যারা-গ অবৈধ
জাতীয় বেতনকাঠামো প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর ‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ স্পষ্টীকরণ’ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর (গ) অনুচ্ছেদে উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতা বিষয়ে বলা রয়েছে।
(গ) (১) উপ–অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী দুই বা ততোধিক উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই হোক) পেয়ে থাকলে তিনি এই অনুচ্ছেদের অধীন উচ্চতর গ্রেড পাবেন না।
(গ) (২)–এর ভাষ্য, একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী একটিমাত্র উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই হোক) পেয়ে থাকলে উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় বছর পূর্তির পর সপ্তম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন।
(গ) (৩) উপ–অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী কোনো প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই হোক) না পেয়ে থাকলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০ বছর চাকরি পূর্তিতে ১১তম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ৬ষ্ঠ বছরে পদোন্নতি না পেলে ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন।
আর সরকারি কর্মচারীদের প্রদত্ত এসব আর্থিক সুবিধা কোনোক্রমেই ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগে দেওয়া হবে না বলে পরিপত্রের (গ) (৪) উল্লেখ করা হয়।
আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৫ সালের পে–স্কেলের ৭ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে চতুর্থ গ্রেড বা তার ওপরের কর্মচারী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন না। একই সঙ্গে ২০১৫ পে–স্কেলে আগে যেসব কর্মচারী দুই বা ততোধিক টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তাঁরাও উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন না মূল পে–স্কেলে বলা আছে। অথচ ২০১৫ সালের আগে যাঁরা একটি মাত্র টাইম স্কেল অথবা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তাঁরা একটিমাত্র উচ্চতর গ্রেড পাবেন বলে স্পষ্টীকরণ–সংক্রান্ত পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ২০১৫ সালের জাতীয় পে–স্কেলের ৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পরিপত্র দিয়ে মূল জাতীয় বেতনকাঠামো সংশোধন এখতিয়ারবহির্ভূত। যে কারণে রিটগুলো করা হয়।
মামলার পূর্বাপর
‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ স্পষ্টীকরণ’ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছর রিট করেন কয়েকজন সরকারি চাকরিজীবী। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে স্পষ্টীকরণ পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। ২০২০ সালে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত আপিল করে।
এ ছাড়া ওই পরিপত্র নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা পৃথক রিট করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষিত হয়।
হাইকোর্টের পৃথক রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আপিল ও লিভ টু আপিল করে। ২০২০ সালে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের সঙ্গে অপর আপিল ও লিভ টু আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষের এসব আপিল ও লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। রিট আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন ও আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল শুনানি করেন।