Samakal:
2025-05-01@00:00:06 GMT

বিশৃঙ্খলায় জেরবার বিসিবি

Published: 24th, April 2025 GMT

বিশৃঙ্খলায় জেরবার বিসিবি

আইসিসির এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের পদত্যাগ, টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনামুল হক মনির পদত্যাগ, দেবব্রত পালের সঙ্গে অন্য ম্যাচ রেফারিদের বিবাদে জড়িয়ে পড়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। সেটি হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়কে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়া। 

লিগের একাদশ রাউন্ডে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে হৃদয় এলিট আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে বাজে আচরণ করে নিষেধাজ্ঞায় পড়েন। সংবাদ সম্মেলনে এসে দেশের আম্পায়ারদের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা ছাড়াও মুখ খোলার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছিলেন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে শৃঙ্খলা ভেঙে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় পড়েন হৃদয়। মোহামেডানের আবেদনের পরও বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটি শাস্তি কমায়নি। অথচ সবার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আম্পায়ার্স বিভাগ শাস্তি স্থগিত করে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেয়। 

এর প্রতিবাদে টেকনিক্যাল কমিটির প্রধানের পদ ছাড়েন মনি, দুদিন আগে বিসিবির চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন আম্পায়ার সৈকত। ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের সঙ্গে কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করে লিখিত চিঠি দিয়েছেন বাকি ম্যাচ রেফারিরা। সেদিক থেকে বলা যায়, বিসিবিতে চলছে বিশৃঙ্খলা।

বিসিবি আম্পায়ার্স বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু নিয়ে টিভি টকশোতে নিজের মতামত দেন দেবব্রত পাল। যেটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি রাহুলের বিরুদ্ধে গেছে। এতে করে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ১৯ এপ্রিল ম্যাচ রেফারিদের নিয়ে মিটিং করেন ইফতেখার মিঠু। সেখানে আপত্তিকর কিছু ঘটনা ঘটে গেছে বলে জানান আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘দেবব্রত পাল ম্যাচ রেফারি হয়েও আরেক ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে মিডিয়াতে কথা বলে নিয়ম ভেঙেছে। সে (দেবব্রত) মিটিংয়ের শৃঙ্খলা মানছিল না। মিটিং শেষে তো বাগ্‌বিতণ্ডা হাতাহাতিতে গড়ায়।’

দেবব্রত পালকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ঢাকায় মিডিয়ার কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো বলেছেন, রাহুল কর্তৃক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। যেই ইস্যু নিয়ে এত ঘটনা, সেই হৃদয়ের শাস্তি দুই ম্যাচ বহাল রাখা হবে বলে জানান মিঠু। এই লিগে না পরের মৌসুমে এটি কার্যকর হবে, তা পরিষ্কার করেননি। তিনি বলেন, ‘মোহামেডানের একটা চাপ ছিল শাস্তি কমানোর। এ কারণে সাময়িকভাবে করা হয়েছে।’ 

মোহামেডানের চাপ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিসিবি পরিচালক ও মোহামেডানের কর্মকর্তা মাহাবুবুল আনাম বলেন, ‘কেউ বলতে পারবে না আমি হৃদয়ের শাস্তি কমাতে বলেছি। মোহামেডান ভুল স্বীকার করে শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানিয়েছে। সিদ্ধান্ত যা হয়েছে, তা আম্পায়ার্স বিভাগ নিয়েছে।’ 

ম্যাচ অফিসিয়ালদের একজন জানান, ইফতেখার মিঠু টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মনিকে বলেছিলেন, বোর্ড পরিচালকরা মিটিং করে হৃদয়ের শাস্তি কমানো হয়েছে। এ কথা শোনার পর মনি টেকনিক্যাল কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম প য় র স কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি ৮ প্রাক্তন ভিসিসহ ২০১ জন

ঢাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ‘হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও আসামি করা হয়েছে। 

ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম বুধবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ মার্চ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের পক্ষে ছাত্রদলের সাবেক নেতা এম এ হাশেম রাজু আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। 

মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক আছেন আসামির তালিকায়। তারা হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মীজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অনুপম সেন, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, আলমগীর হোসেন, আবেদ খান প্রমুখ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে– ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সকালে মামলার বাদী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরীবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছায়। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী পথরোধ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ গুলিতে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

এদিকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আব্দুন নূর নামে এক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা হাফেজ আবুল বাশার গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম এম মিজবাউর রহমানের আদালতে এ মামলা করেন। 

মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, সালমান এফ রহমান প্রমুখ। 

মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, আব্দুন নূর ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান নিউজ নামে পত্রিকার রিপোর্টার ছিল। আন্দোলনের সময় ১ আগস্ট সে ঢাকায় আসে এবং যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট গুলিতে মারা যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ