তুরস্ক ও আরব আমিরাত সফরে প্রধান বিচারপতি
Published: 24th, April 2025 GMT
তুরস্ক সফরে গেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। তুরস্ক সফর শেষে প্রধান বিচারপতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে যাবেন।
দেশ দুটিতে অনুষ্ঠেয় দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো.
তিনি বলেন, ‘তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি কাদির ওজকায়া তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের ৬৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামসহ অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে বিশেষ আমন্ত্রণপত্র পাঠান। সফরে প্রধান বিচারপতি শুক্রবার ইস্তাম্বুলের দোলমাবাছ প্রাসাদে একটি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়া প্রধান বিচারপতি ২৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি আবুধাবি আয়োজিত ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড দ্য কনস্টিটিউশন: রিফ্লেকশনস ফ্রম দ্য গ্লোবাল সাউথ’-শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। এতে ছাত্র, শিক্ষক, আইনজ্ঞ, আইনজীবী, অন্যান্য পেশাজীবীসহ আবুধাবির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রধান বিচারপতি ২৮ এপ্রিল সকালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের একটি ওয়ার্কশপে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।
প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।
এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।
পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।
একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।