জনগণ সাফার করছে, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন: জামায়াতের আমির
Published: 25th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন নাকি উপহার দেবে। আমরা তাদের এসিড টেস্ট দেখতে চাই। জনগণ এখন সাফার করছে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিধি না থাকার কারণে। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা দিন। আমরা দেখি, আপনাদের সদিচ্ছা এবং সক্ষমতা কতটুকু। যদি এতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়, তাদের পরবর্তী খেদমতের জন্য আপনাদের পূর্ণ সমর্থন করবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ মহানগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াতের আমির বলেন, নারী অধিকার সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টের বেশকিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নার সম্পূর্ণ খেলাপকারী সুপারিশ জমা হয়েছে। যারা এই সুপারিশ করেছেন, তারা এ দেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা যে জায়গায় সমাজকে নিতে চান, সেটা হতে দেওয়া হবে না। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই এটি বাতিলের জন্য আহ্বান জানানো হবে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য আবারও বাড়ছে। সরকার যেন সেদিকে নজর দেয়। যারা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের কাউকে আইনের বাইরে রাখবেন না। তাদের বিচার নিশ্চিত করুন।
ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দসহ অন্যরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সার্কিট হাউজ মাঠে জড়ো হন। সম্মেলন সকাল ৯টায় শুরু হয়।
ঢাকা/মিলন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম র র আম র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।