আজ সকাল থেকেই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লেগে ছিল ক্রিকেটারদের পদচারণা। একাডেমি ভবনে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। বেলা ১১টার দিকে মাঠে প্রবেশ করেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর একে একে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাঈম শেখ।

একাডেমি ভবনে শুরু হয় ক্রিকেটারদের মধ্যে আলোচনা, যা চলে দীর্ঘ সময় ধরে। পরে জুমার নামাজের বিরতির পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। আলোচনায় উপস্থিত থাকেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুও। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে গুঞ্জন আছে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক একটি ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে পারেন তামিম ইকবাল। উল্লেখ্য, অসুস্থতার কারণে ছিটকে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নেতৃত্বে ছিলেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ