মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়ের বাকি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

এর আগে তাওহিদ হৃদয় ডিপিএলে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করায় প্রথমে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন। পরে বাইলজ পরিবর্তন করে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় নামিয়ে আনা হয় শাস্তি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনা হলে, লিগের টেকনিক্যাল কমিটি আগের রায়ই বহাল রাখে। ফলে ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার আবারও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন। তার মধ্যে এক ম্যাচের শাস্তি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে মোহামেডানের জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটারদের, বিশেষ করে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তামিমসহ সিনিয়ররা বোর্ডের কাছে চাপ প্রয়োগ করেন শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য। তাদের চাপের প্রেক্ষিতেই হৃদয়ের শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যদি এই সময়ের মধ্যে আবার কোনো শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনায় জড়ান হৃদয়, তাহলে স্থগিত থাকা নিষেধাজ্ঞাটিও কার্যকর করা হবে।

এর আগে আজ বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পর হৃদয়ের শাস্তি প্রসঙ্গে কথা বলেন তামিম ইকবাল। যেখানে হৃদয়ের একই ঘটনায় দুইবার শাস্তির বিষয়কে ‘হাস্যকর’ বলেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা শুনেছি কাল তাকে আবার এক ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা কোন নিয়মে আমাদের জানা নেই। এটা হাস্যকর। বিসিবি তাকে খেলতে দিয়েছে, আবার কিভাবে শাস্তি দেয়!’

বৈঠক শেষে তামি জানান, দ্রুত সমাধান চেয়েছেন ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলো ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের সাথে এভাবে করলে হয় না। বোর্ড প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছিলাম আসার জন্য, উনি এসেছেন। সাথে আরও ২ জন বোর্ড পরিচালক ছিলেন। লম্বা আলোচনা হয়েছে। বলেছি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন, আমাদের জানান। যেহেতু কাল খেলা। আমার মনে হয় খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল এক ম য চ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ