ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএসফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম আসাদুল ইসলাম (২৮)। তিনি ইটনা গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ওই ব্যক্তি নদী পার হচ্ছিলেন। দুই দেশের সীমান্ত পিলার ২০২৪/১০ এস থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের টহল দলের সদস্যরা বাংলাদেশি নাগরিক আসাদুল ইসলামকে লক্ষ্য করে তিনটি ছররা গুলি ছোড়েন। এতে তিনি আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।

এদিকে খোঁজ করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ওই রোগীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিমেল খান বলেন, ওই রোগীর বিষয়ে অনেকেই ফোন করেছেন। কিন্তু এই নামে কোনো রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেননি।

বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় বিজিবির কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। বাড়িতে গিয়েও আহত যুবককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ওই নাগরিক অবৈধভাবে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করেন। ওই ব্যক্তি নদী পার হওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএসফ) সদসরা তাঁকে উদ্দেশ্য করে তিনটি গুলি করেন। এতে তিনি আহত হন।

লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আখাউড়া কর্নেল বাজার বিওপি সীমান্তে দুই দেশের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ঘটনাটি জয়নগরে ঘটেছে। আখাউড়া-আগরতলার জয়নগর সীমান্তে আরেকটি পতাকা বৈঠক হবে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় লোকজন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি এম রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আখাউড়ার এক যুবক বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন। ওই যুবক ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে তাঁর ভাই ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ