বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক চায় পাকিস্তান
Published: 27th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৫৪তম জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান ও তাঁর স্ত্রী রওশন নাহিদ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও ইসলামাবাদ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বাড়াতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্য দিই এবং বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী।
তিনি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাও জানান। খাজা মুহাম্মদ আসিফ বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও বন্ধন আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন খান জানান, সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের নেতৃত্বে ১৫ বছর পর দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। তিনি বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও আতিথেয়তার কথা তুলে ধরেন এবং সহযোগিতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও পাকিস্তানের একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।