তালাক যথাযথভাবে হয়নি জেনেও তামিমা সুলতানাকে বিয়ের অভিযোগে করা মামলার শুনানিতে বিব্রত হয়ে মামলার নথি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠিয়েছেন একই আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান। ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান।

২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর নতুন করে বিতর্ক ওঠে এই ক্রিকেটারকে ঘিরে। তামিমা তাঁর আগের স্বামীকে তালাক না দিয়ে নাসিরকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় তামিমা ও নাসিরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান।

এ মামলায় নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আর ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তালাক যথাযথভাবে হয়নি জেনেও তামিমা সুলতানাকে বিয়ের অভিযোগে করা মামলায় আজ আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এক দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী (তিনি) মন্তব্য করেছেন, যা আদালত অবমাননার শামিল।

আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে আরও বলেন, তিনি বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের বিষয়ে আদালতকে বলেছেন, বিবাদীপক্ষের আইনজীবী একসময় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এটিকে পেশাগত অসদাচরণ বলে মনে করেন তিনি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্রিকেটার নাসিরের আইনজীবী আজিজুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, ১৬ এপ্রিল এ মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান গণমাধ্যমে তামিমাকে জড়িয়ে নাসিরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। মামলার বিচার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে এ ধরনের মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। আদালত অবমাননার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিচারের এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের। আদালত অবমাননার আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ জানান।

আইনজীবী আজিজুর রহমান আরও বলেন, তিনি কোনো পেশাগত অসদাচরণ করেননি। আদালত মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইশর ত হ স ন প রথম আল ক কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, শুনানি হতে পারে রোববার

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এই আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আগামী রোববার শুনানি হতে পারে।

চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ বুধবার রায় দেন। রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে ওই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস জামিন পান।

এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান।

পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। শুনানি হয়নি। চেম্বার আদালত আগামী রোববার আবেদনটি শুনবেন।

এর আগে ওই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ গত ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে গত ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেছিলেন চিন্ময় দাস। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দেন হাইকোর্ট। আবেদনকারীকে (চিন্ময়) কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না, প্রবীর হালদার ও অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আদালত গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন রাখেন। সেদিন চিন্ময়ের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রাখেন। সেদিন তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

আরও পড়ুনরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
  • শ্রম আদালতে ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
  • অকার্যকর সিসি ক্যামেরা, পানি নেই ছয় মাস
  • মাওলানা রইস হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে ১০২ নাগরিকের বিবৃতি
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ
  • চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, রোববার ফের শুনানি
  • চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, শুনানি হতে পারে রোববার
  • নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত, অন্য আদালতে বদলি
  • নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ