সোনারগাঁয়ে বাবাকে পেটানো ছেলে গ্রেপ্তার
Published: 28th, April 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়া চর এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে সন্তানরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম বাদী হয়ে সন্তানদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছেলে জহিরুল ইসলামকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে প্রকাশ্যে বাড়ির সামনে রাস্তায় ফেলে আষাঢ়িয়াচর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আব্দুর রহিমকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত করে তারই ছেল জহিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও মেয়ে হালিমা আক্তার।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান জানান, সন্তানদের জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে কুপিয়ে জখম করায় ছেলে জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে এবার আষাঢ় মাসের ‘উপহার’ এক কোটি টাকা
এবার আষাঢ় কী উপহার দিয়ে গেল—এ প্রশ্নে যে কেউ বলে উঠবেন, কেন, কদম ফুল। আর মাসজুড়ে বৃষ্টির ঘ্যানর ঘ্যানর। রাজশাহীতে ছাতা ছাড়া কোথাও বের হওয়া যায়নি। তবে হাওয়াটা ছিল বেশ শীতল, বাতাসটা নির্মল। গাছের পাতারা প্রতিদিনই বৃষ্টির ফোঁটায় ধুয়ে নিয়েছে গায়ের ময়লাধুলো। এতে সবুজ পাতারা আরও সবুজ হয়েছে। প্রাণপ্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে।
কিন্তু আষাঢ়ের এই ৩১ দিনের সরাসরি কোনো আর্থিক অবদানও কি আছে? রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব বলছে, হ্যাঁ। এবার আষাঢ় মাসে লাগাতার বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া শীতল ছিল। ফলে এসি (শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) ও বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবহার কম ছিল। এতে গত বছরের চেয়ে রাজশাহী শহরে ১ কোটি ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৮ টাকা মূল্যের বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। যাকে কেউ কদম ফুলের সঙ্গে এবারের আষাঢ়ের বাড়তি উপহার বলতেই পারেন। কারণ, গত বছর আষাঢ়ে বৃষ্টি হয়েছিল মাত্র এক দিন। আর এবার হয়েছে সব দিন।
রাজশাহীতে নিয়মিত আবহাওয়ার তথ্য লিপিবদ্ধ করেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সাবেক শিক্ষক ও নওগাঁর শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর শাহ। তাঁর হিসাবমতে, এবার আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে শুরু করে প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এক দিনও ভারী বৃষ্টি হয়নি। গত বছর আষাঢ় মাসে মাত্র এক দিন বৃষ্টি হয়েছে। তার আগের বছর ২০২৩ সালে হয়েছে মাত্র তিন দিন। ২০২২ সালে হয়েছে চার দিন, ২০২১ সালে ছয় দিন এবং ২০২০ সালে হয়েছে পাঁচ দিন। তিনি ১৩ বছর ধরে আবহাওয়ার ডায়েরি লিখছেন। তার মধ্যে এ বছরের মতো বৃষ্টির চেহারা দেখেননি।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, জলমগ্ন রাস্তায় মাছ শিকার২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, গত বছর আষাঢ়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আষাঢ় মাসজুড়েই এ রকম চড়া তাপ সইতে হয়েছে রাজশাহীর মানুষকে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আজিজুল হক জানিয়েছেন, মানুষের শরীরের ভেতরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৬ দশমিক ৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বাইরের তাপমাত্রা এর চেয়ে বেশি মানুষের কাছে অসহনীয় লাগে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর আষাঢ়ের ২৮ তারিখে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মানুষের শরীরের ভেতরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়েও কম। শুধু তা–ই নয়, মাসজুড়েই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ছিল কম।
গাছের পাতারা প্রতিদিনই বৃষ্টির ফোঁটায় ধুয়ে নিয়েছে গায়ের ময়লাধুলো। ৯ জুলাই রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা গ্রামে