মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
Published: 29th, April 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বনশ্রীসংলগ্ন মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর অন্যতম আইনজীবী জহিরুল ইসলাম।
এর আগে ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সই করা এক ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলামে অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশুর হাটের জন্য ‘মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খাল পাড়ের খালি জায়গা’ ইজারার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন হাট বসার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ইজারা বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলামের বৈধতা নিয়ে বনশ্রীর স্থানীয় বাসিন্দা মো.
আদালতের রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী লিটন আহমেদ। শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম।
হাইকোর্ট মেরাদিয়া হাট বসানোর ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী জহিরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত আবাসিক এলাকায় এ ধরনের হাট বসতে পারে না। এমনকি সেখানে হাট বসানোর মতো জায়গাও নেই, যে কারণে রিটটি করা হয়।’
রুলে ২১ এপ্রিল আহ্বান করা ইজারা বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলাম (মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গা) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তাবিত হাটের তালিকায় উল্লেখিত ৯ নম্বর কলামটি (মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গা) সরাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে ৫ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
যৌথ সভা শেষে জানানো হয়, ৭ নভেম্বর সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে বিএনপির কার্যালয়গুলোয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় জাতীয় নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা–কর্মী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে একই দিন বেলা তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হবে। এর আয়োজক ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই দিন বিএনপির উদ্যোগে র্যালি আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে আছে—
শ্রমিক দল: ৫ নভেম্বর আলোচনা সভা।
ছাত্রদল: ৮ নভেম্বর আলোচনা সভা। ৭ ও ৮ নভেম্বর টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
ওলামা দল: ৯ নভেম্বর এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
তাঁতী দল: ১০ নভেম্বর আলোচনা সভা।
কৃষক দল: ১১ নভেম্বর আলোচনা সভা।
জাসাস: ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া ১২ নভেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য তুলে ধরে ডকুমেন্টারি (ভিডিও ও স্থিরচিত্র) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। একই সঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার চেতনা ও জাতীয় সংহতির প্রতীক হিসেবে এ দিবসের গুরুত্ব আজও অনস্বীকার্য।