চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় দুই আসামি পালিয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন- ইকবাল হোসেন ইমন ও আনোয়ার হোসেন। তাদের মধ্যে ইকবাল চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। আর আনোয়ার সীতাকুন্ড থানার একটি মাদক মামলার আসামি।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমানে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে আসামি পালিয়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো.
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কলাউজান রাবার ড্যাম স্টেশন এলাকায় মো. জাহেদ নামে এক নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, অনলাইন জুয়ার টাকা লেনদেনের জেরে বন্ধুরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় মো. ইকবাল হোসেন ইমনকে। আর আনোয়ার হোসেন মাদক মামলার আসামি। মামলায় হাজিরার নির্ধারিত দিনে আজ সকালে তাদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয় তাদের। হাজিরা শেষে তাদের জেলা আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া আসামিদের ধরতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।