জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, “এই মুহূর্তে অবাস্তব সংস্কার চাই না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কেউ সংস্কার করতে পারবে না। নির্বাচনের কথা ব‌লে আপনারা দেশের অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর ভোটাধিকার দিতে চান না। যেহেতু আপনারা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে পারছেন না, দয়া করে বিদায় হোন।”

মে দিবস উপল‌ক্ষে বৃহস্প‌তিবার (১ মে) কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় ‌তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

জিএম কা‌দের ব‌লেন, “ড.

মোহাম্মদ ইউনূস আমাদের সম্মানের পাত্র, তিনি আমাদের মাথার মুকুট। আপনি যেখানে ছিলেন সেখানেই থাকেন। আপনি চলে যান, আপনাকে দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব হবে না।”

আরো পড়ুন:

জিএম কাদেরের প্রশ্ন
তোমরা কেমন করে ফাইভ স্টারে চলাফেরা করো?

দুদ‌কের সাম‌নে জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

“আপনার দ্বারা কোনো সংস্কার আমরা বিশ্বাস করি না। যারা সংস্কার করছেন, তারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট জানেন না। আপনারা সংস্কার প্রস্তাবগুলো টেবিলে রেখে যান, পরবর্তী নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাই সংস্কার করবে। এই মুহূর্তে আমরা সংস্কার চাই না। সরকারপ্রধান হিসেবে তার উপরে আমাদের কোনো আস্থা নেই, আমরা তাকে চাই না। তারা যে সংস্কারের কথা বলছে, তা বাস্তবায়নযোগ্য নয়,” ব‌লেও ম‌নে ক‌রেন জাপা চেয়ারম‌্যান।

তি‌নি দুঃখ ক‌রে ব‌লেন, “কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বের করে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। কোন আইনে রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখবেন? কেউ দোষ করলে এটা তার দল বা ধর্মের দোষ নয়। আপনারা কাউকে নির্বাচন থেকে বাদ দিতে পারবেন না। সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে, সেই বুকের পাটা নিয়ে রাজপথে দাঁড়ান। বিচার ও সংস্কারের কোনো টাইম লিমিট নেই, এগুলো সবসময় করা যায়। একসাথেই সব সংস্কার করবেন বিষয়টা এমন নয়। চারা গাছ দিয়ে ফুল, ফল ও ছায়া সম্ভব নয়। চারা গাছকে বড় হতে সময় দিতে হবে। যতই সার, পানি ও ইনজেকশন দেন চারা গাছকে বড় হতে সময় দিতেই হবে।”

জাপার ওপর আর কো‌নো অন্যায় অত্যাচার সহ্য করা হ‌বে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ ক‌রে জিএম কা‌দের ব‌লেন, “আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতন চলছে। আপনারা দেশের অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে রাজনী‌তি কর‌তে দি‌তে চান না, আমরা আপনাদের ঐ চিন্তার ধার ধারি না। আমরা এদেশের সন্তান, এদেশের জন্য আমাদের ত্যাগ আছে। এদেশের জন্য আমরা কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও কাজ করে যাব। দেশের মানুষ যদি আমাদের গ্রহণ না করে আমরা মাথা পেতে নেব, কিন্তু আপনারা আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের রাজনীতি বাধাগ্রস্ত করবেন তা মেনে নেব না। কোনো ফ্যাসিবাদি সিদ্ধান্ত আমরা দেখতে চাই না। যতদিন পর্যন্ত নব্য ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত না হবে, ততদিন আমাদের সংগ্রাম চলবে।”

সরকারপ্রধান ও নিয়োগ কর্তাদের ক্ষমতা ছেড়ে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জা‌নি‌য়ে সা‌বেকবি‌রোধী দ‌লের নেতা ব‌লেন, “ক্ষমতা ছে‌ড়ে রাজনী‌তি‌তে আসুন। জনগণ যদি আপনা‌দের গ্রহণ করে আমরা গ্রহণ করব। কিন্তু সরকা‌রের ছত্রছায়ায় তারা যে নতুন দল করেছে তা পূরনো স্টাইলেই আগাচ্ছে। চাঁদাবাজি ও শোডাউনের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা কাকের গায়ে ময়ুয়ের পালক লাগিয়েছে। তারা দেশের পরিবর্তনের জন্য কোনো কাজ করছে না। যারা সরকারে থেকে দল করছেন, তারা সরকার থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতির মাঠে আসুন। দেশের জনগণ যাকে মেনে নেয়, আমরাও তাকেই গ্রহণ করব।”

তি‌নি ব‌লেন, “সরকারের ক্ষমতা আর মববাজি দিয়ে দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার চালাবে আমরা তা মেনে নেব না। সাংবাদিকরা রাজনীতিবিদদের প্রশ্ন করে, এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য সাংবাদিকদের চাকরি চলে যাবে, টিভি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাবে এমন কালচার আমরা দেখতে চাই না। আমরা এক ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছি আরেক ফ্যাসিবাদকে গ্রহণ করতে নয়। আমরা এই নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। আমরা নব্য ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের রুখে দেব।”

দেশের বর্তমান প‌রি‌স্থি‌তি তুলে ধরে জিএম কা‌দের বলেন, “বাংলাদেশের লাখ লাখ বেকার হয়ে পড়েছে। আরো অনেকেই বেকার হওয়ার আশঙ্কায় উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে অনেক কল কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মিল কারখানা চালু করে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। মালিকপক্ষ যে দলই করুক শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কৃষকরা ফসল উৎপাদন করছে, দাম পাচ্ছে না। গেল রমজানে সরকার বাহাদুরি করে বলেছে, সব নিত্যপণ্যের দাম কম। কিন্তু, সরকার বোঝে নাই কৃষকদের কষ্ট। ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকরা ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এখন মালামালের দাম বেড়েছে, কিন্তু কৃষক ও শ্রমিকের হাতে টাকা নেই এবং ব্যবসায়ীদের হাতেও টাকা নেই। প্রতিদিন রপ্তানি কমে যাচ্ছে, দেশে নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসলে বিশ্বের কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে ঋণ দেবে না। বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না এবং দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি হবে না। এই সরকার দেশকে বিপজ্জনক ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”

তি‌নি বন্ধ সব কলকারখানা চালু এবং বেকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দা‌বি জানান।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, খলিলুর রহমান খলিল, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন।

জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি মেফতাহ উদ্দিন জসিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্তর সঞ্চালনায় মে দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শেরিফা কাদের, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম মিলন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, হেনা খান পন্নী, অ্যাডভোকেট লাকি বেগম, হারুন অর রশিদ, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, মাশরেকুল আজম রবি, জাহিদ হাসান, একেএম নূরুজ্জামান জামান, মাতলুব হোসেন লিয়ন, সুলতান মাহমুদ, বোরহান উদ্দিন, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান আহমেদ সেলিম, নূরুন্নাহার বেগম, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, হেলাল উদ্দিন, এম এ সোবহান, আকতার হোসেন দেওয়ান, মো. নোমান মিয়া, শামসুল হক, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, শামীম আহমেদ রিজভী, হেলাল উদ্দিন, দ্বীন ইসলাম শেখ, আবু সাঈদ স্বপ্ন, জুবের আলম রবিন, নির্মল চন্দ্র দাস, কাজী আবুল খায়ের, আনিস উর রহমান খোকন, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, আজাহারুল ইসলাম সরকার, মো. আব্দুল হান্নান, মিজানুর রহমান মিরু, মাহমুদ আলম, এম এ রাজ্জাক খান, হাফেজ কারী ইসারুহুল্লা আসিফ, মোড়ল জিয়া উর রহমান, গোলাম মোস্তফা,  বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, অ্যাডভোকেট সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী, জাকির হোসেন মৃধা, শারমিন পারভীন লিজা, ডা. সেলিমা খান,হুমায়ুন কবির শাওন, লোকমান ভূঁইয়া রাজু, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের আহমেদ, জাতীয় মহিলা পার্টির তাসলিমা আকবর রুনা, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা,  জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন, কৃষক পার্টির সদস্য সচিব এম এ কুদ্দুস মানিক, মোটরশ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শিপন, সদস্য সচিব আবদুর রহিম, জাতীয় ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্স, সদস্য সচিব আরিফ আলী, পল্লীবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ইমন প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ এম ক দ র ম হ ম মদ ল ইসল ম র রহম ন জ এম ক আম দ র র জন য র জন ত আহম দ সরক র আপন র ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের হামলায় ২০ ইসরায়েলি নিহত

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চারদিন ধরে চলছে। এসব হামলায় উভয় দেশের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইসরায়েলের জাতীয় পরিষেবা জানিয়েছে, আজ সোমবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা  ২০ জনে পৌঁছুল। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

অন্যদিকে আল-জাজিরা বলছে, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী। 

এর আগে সিএনএন ইসরায়েলের ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দেয়। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবর বলছে, বন্দরনগরী হাইফায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।

রোববার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।

এদিকে ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ