মুন্সিগঞ্জে পূর্ববিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 2nd, May 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে পূর্ববিরোধের জেরে সানা মাঝি (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের মাকাহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সানা মাঝি মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্য মাকাহাটি এলাকার বাসিন্দা ও মৃত মোহাম্মদ মাঝির ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সানা মাঝির পরিবারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই বাবু মাঝিদের বিরোধ শুরু হয়। ওই সময় বাবু মাঝির ভাই শিপন মাঝির গুলিতে নিহত হন সানার বাবা মোহাম্মদ মাঝি। এরপরের বছর শিপনকে হত্যা মামলায় সানা ও তাঁর চার ভাই দীর্ঘদিন জেল খাটেন। ২০১৬ সালে তাঁরা কারামুক্ত হয়ে গ্রামে ফেরেন। পরে দুই পক্ষ মীমাংসা করলেও বাবু পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ রয়ে যায়।
নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই আসাদ মাঝি বলেন, ‘স্বাধীন নামের এক ব্যক্তি কাজের কথা বলে বৃহস্পতিবার সানাকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতেই জানতে পারেন, সানাকে বাবু মাঝির বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। বাবু মাঝি, আলামিন, কাউসার, হিরণ, মুন্নাসহ অনেকেই নির্যাতন করেছেন। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি, বাবুদের বাড়ির পাশে মাকাহাটি রাস্তার ওপরে ভাই সানা মাঝিকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে।’
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ফাতেমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ৮ বছর ও ৪ বছর বয়সী দুইটা মেয়ে, ৮ মাসের একটি ছেলে আছে। আমার স্বামীর প্রতি ওদের এত আক্রোশ জানলে আমি আমার স্বামীকে ঘর থেকে বের হতে দিতাম না। ওরা আমার স্বামীকে নির্দয়ের মতো কুপিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ববিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় ২২ পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত এমপির জয়
কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে এবার ভারতীয় পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা বেড়েছে। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ জন পাঞ্জাবি হাউস অব কমন্সে জায়গা করে নিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কানাডার রাজনীতিতে পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূতদের ক্রমান্বয়ে আধিপত্য বাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠল। দেশটির পার্লামেন্টে এখন পাঞ্জাবি অধিবাসীদের ৬ শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো।
পাঞ্জাবি জনগোষ্ঠীর ঘনত্ব বেশি ব্রাম্পটন শহরে। সেখানকার নির্বাচনী ফলাফল ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখানে পাঁচটি আসনে পাঞ্জাবি নামধারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
উদারপন্থি ও রক্ষণশীল উভয় দলেই পাঞ্জাবি প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ব্র্যাম্পটন নর্থে উদারপন্থি দলের রুবি সাহোতা রক্ষণশীল দলের আমনদীপ জুড়্গেকে পরাজিত করেন। বিবিসি।