প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি বিএনপির কাম্য নয়
Published: 3rd, May 2025 GMT
সংসদের বাইরে সংবিধান সংস্কার আইনানুগ হবে না বলে মনে করছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হোক– তাও কাম্য নয় দলটির। আওয়ামী লীগের বিচার চায় বিএনপি; তবে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ নয়। সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজনীতির জরুরি সব বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজীব আহাম্মদ।
সমকাল: অনেক বছর ধরে আলাপ রয়েছে– অবারিত সাংবিধানিক ক্ষমতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্রাটের চেয়েও ক্ষমতাবান। এই ক্ষমতা কমাতে সংস্কার কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব করেছে। বিএনপি এর বিরোধিতা করছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ: হ্যাঁ। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি বিএনপির কাম্য নয়। এর মাধ্যমে কীভাবে রাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গকে শক্তিশালী করা যায়, বিএনপি সে প্রস্তাব করছে। যদি বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসে, জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, গণমাধ্যম স্বাধীন হয়, প্রশাসন দলীয়করণমুক্ত হয়, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্ত হয়, তখন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে ভারসাম্য আনতে হবে না। তখন আইনসভা, বিচার বিভাগ নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। এতে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি হবে।
সমকাল: ২০০৪ সালে দুদক আইন হয় বিএনপির সময়ে। আইন অনুযায়ী দুদক শক্তিশালী। সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে অবারিত ক্ষমতা দিয়েছে। এত ক্ষমতা, সাংবিধানিক শক্তির পরও কি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর হতে পেরেছে? বলা হয়, নির্বাহী বিভাগের চাপে পারে না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এত অবক্ষয় হতো না। প্রতিষ্ঠানগুলো দেখেছে, ক্ষমতাসীনরাই ক্ষমতায় থাকবে। তাই তারা বশংবদ হয়েছে। যতই ক্ষমতা থাকুক, চর্চা করেনি। গোড়ার কথা হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ক্ষমতার পালাবদল হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের আজ্ঞাবহ হবে না।
সমকাল: ২০০৮ সালের নির্বাচন কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হয়েছিল। বিএনপি জোটের নিশ্চয়ই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ: ছিল না। কারণ, সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল বিএনপি যাতে বড় বিরোধী দল হতে না পারে।
সমকাল: তাহলে কীভাবে আশা করেন, পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে?
সালাহউদ্দিন আহমেদ: তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নিজেদের পক্ষে নিতে ক্ষমতাসীনরা এমনকি বিএনপিও কিছু কিছু ভুল পদক্ষেপ নিয়েছিল। এখন তো পরিস্থিতি ভিন্ন। ঐকমত্যের ভিত্তিতে এমন একটি পদ্ধতি দাঁড় করানো হবে, যাতে কেউ প্রভাবিত করতে না পারে।
সমকাল: স্বাধীন গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন। কিন্তু নিয়োগের ক্ষমতা যদি এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে, তাহলে তারা কীভাবে স্বাধীন হবে? যেমন আপনি গুম হওয়ার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ করা মানবাধিকার কমিশন টুঁ শব্দ করেনি। ওই কমিশনের তো ব্যাপক ক্ষমতা ছিল। ভবিষ্যতেও যদি প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ করা মানবাধিকার কমিশন থাকে, তারাও সরকারের বিরুদ্ধে বলবে না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ: একই কথা ঐকমত্য কমিশনও বলছে। কিন্তু বিকল্প হিসেবে তারা যেসব প্রস্তাব করেছে, তাতে মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাই থাকবে না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সব নিয়োগ যদি প্রধানমন্ত্রীর হাতের বাইরে থাকে, তাহলে তিনি সরকার চালাবেন কীভাবে!
আবার বলা হচ্ছে, সংসদহীন অবস্থায়ও এনসিসি থাকবে। তখন এনসিসির পাঁচ সদস্যের মধ্যে রাষ্ট্রপতি ছাড়া বাকিরা হবেন অনির্বাচিত। এতে রাষ্ট্রে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। রাজনৈতিক দল এবং জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি থাকে। সেই জায়গা থেকে বলেছি, অনির্বাচিত বডির কাছে জবাবদিহিহীন ক্ষমতা দেওয়া যায় না। চিন্তা করতে হবে, এর চেয়ে ভালো বিকল্প কী হতে পারে। নির্বাহী বিভাগের কাছ থেকে যাতে সব ক্ষমতা চলে না যায়, তা দেখতে হবে।
সমকাল: ভারতে গত এক দশকে ধীরে ধীরে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়ছে। গণতন্ত্রও ভঙ্গুর হচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ: ভারতে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে। বাংলাদেশে বিচার বিভাগকে একই রকম শক্তিশালী করতে চায় বিএনপি, যাতে তা গণতন্ত্রের রক্ষক হিসেবে কাজ করে। সরকার যাতে আইনের বাইরে কিছু করতে না পারে।
সমকাল: বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে পরবর্তী সংসদের কথা বলছে। বিএনপি যেসব সুপারিশে একমত হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও। পঞ্চম সংশোধনী, একাদশ সংশোধনী সংসদে অনুমোদনের আগেই কার্যকর হয়েছিল। এবার কেন নয়?
সালাহউদ্দিন আহমেদ: একাদশ সংশোধনী জাতীয় ঐকমত্যে সংসদে অনুমোদনের আগে কার্যকর হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে পদে বহাল রেখেই অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল। কোনো পক্ষই এর বিরোধিতা করেনি। আর পঞ্চম সংশোধনী আগেই কার্যকর হয়েছিল সামরিক আইনের মাধ্যমে। পরে কিন্তু সংসদের অনুমোদন নিতে হয়েছে।
সমকাল: তাহলে অনুমোদনের অঙ্গীকার করে এবার সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনের ঐকমত্যে আসা যায় না?
সালাহউদ্দিন আহমেদ: এখন তো সংবিধান বিলুপ্ত হয়নি। সরকার, আদালত চলছে সংবিধান অনুযায়ী। তাই রাজনৈতিক ঐকমত্য হলেও পরবর্তী সংসদে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। একাদশ সংশোধনী কতটা সাংবিধানিক ও আইনানুগ– এটা নিয়ে কিন্তু অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এবারও সংসদের বাইরে এগুলো করলে আইনানুগ হবে না।
সমকাল: নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার কথা বলছেন। কিন্তু ইতোমধ্যে জামায়াত ও এনসিপি কমিশনকে স্বচ্ছতা প্রমাণের কথা বলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিএনপির তালিকা থেকে এসেছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। কমিশন বিএনপির প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট– এমন অভিযোগও উঠছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ: নাসির উদ্দিনের নাম আরও অনেক দলের পক্ষ থেকে এসেছিল। বিএনপি তো নিয়োগ দেয়নি। নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এখনও কমিশনের নিরপেক্ষতায় ঘাটতি দেখছি না। সংস্কার কমিশনের যেসব প্রস্তাব রয়েছে, তাতে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা খর্বের বিষয় রয়েছে। কমিশন এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। এ কারণে বিএনপি ও নির্বাচন কমিশনের মতামত কাছাকাছি মনে হচ্ছে। এ দায় তো বিএনপির নয়।
সমকাল: টানা তিনটি বাজে নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় প্রশ্ন আসে, ভবিষ্যতে প্রহসনের ভোট হলে নির্বাচন কমিশন কোথায় জবাবদিহি করবে?
সালাহউদ্দিন আহমেদ: বিএনপি আইনের প্রস্তাব করেছে। সংস্কার কমিশন কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনতে সুপারিশ করেনি। বিএনপির দাবিতে ২০১৪ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সমকাল: সুপারিশে রয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত হলে নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। বিএনপি এর বিরোধিতা করছে। এতে কি আওয়ামী লীগ সুবিধা পাবে?
সালাহউদ্দিন আহমেদ: পৃথিবীব্যাপী রীতি হলো– দণ্ডিত হওয়ার আগে যে কাউকে নিরপরাধ গণ্য করতে হবে। বাংলাদেশে যদি আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্যের বিধান করি, পৃথিবীর কেউ তা সমর্থন করবে না। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এই বিধান প্রয়োগ করলে বিএনপিই খুশি হতো। বিএনপিই আওয়ামী লীগের বিচারের প্রধান প্রবক্তা। কিন্তু তা আইনের মাধ্যমে, যথাযথভাবে করতে হবে।
সমকাল: তাহলে আপনারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে দেখছেন?
সালাহউদ্দিন আহমেদ: ৫ আগস্ট জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার আছে কিনা– তা মানুষ ঠিক করবে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ যে সুযোগ দিয়েছে, তা কাজে লাগাতে আইন সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সরকার আইন সংশোধন থেকে পিছিয়ে এসেছে। বিএনপি আবারও দাবি করছে, আইন সংশোধন করা হোক। আদালত আওয়ামী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ করুক। গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি নির্বাহী আদেশে কাউকে নিষিদ্ধ করা ঠিক মনে করে না।
সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ: সমকালকেও ধন্যবাদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ল হউদ দ ন আহম দ র জন ত ক ভ রস ম য সরক র র ক র যকর ব এনপ র ঐকমত য য় গ কর হয় ছ ল আইন র সমক ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
মাওলানা রইসের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালের হুশিয়ারি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীকে মব সৃষ্টি করে যারা হত্যা করেছে তদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালে পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন সুন্নিরা। একই সঙ্গে রোববার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
শনিবার চট্টগ্রামের লালদীঘি চত্বরে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের উদ্যোগে সমাবেশে অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, পীর অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমিরী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, আল্লামা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এইচ এম মুজিবুল হক শাক্কুর, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী, ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আখতারী প্রমুখ।
সভায় আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী বলেন, ‘বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। এত বছরেও শহীদ আল্লামা নুরুল ফারুকী হত্যার বিচারের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এবার গাজীপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও মব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির বিকল্প নেই। অথচ, পুলিশ-প্রশাসন মামলা পর্যন্ত নেয়নি। পুলিশ কার ইন্ধনে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে আমরা জানি না। খুনিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করলে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসন দায়ী থাকবে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
সভায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা রইস হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন করছি। অন্যদিকে সরকার রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মানবিক করিডোরের মাধ্যমে দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। অবিলম্বে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একইভাবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলাম বিরোধী সুপারিশ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’