নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে ড্রেন
Published: 3rd, May 2025 GMT
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ফিশারিজ অনুষদের আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ড্রেনের প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। ফলে নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফিশারিজ অনুষদের নিচ দিয়ে নির্মিত আরসিসি ড্রেনের একাংশ হেলে পড়েছে। ওই হেলে পড়া অংশটি ভেঙে ফেলছেন নির্মাণ শ্রমিকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্মাণ কাজে নিম্নমান বজায় রাখার ফলে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ড্রেনটি ভেঙে পড়ে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরো পড়ুন:
সিকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রায়হানুল, সম্পাদক মাহমুদ
নিরুত্তাপ মঞ্চে আশার জয়গান
ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীরা নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে কাজের মান যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। তবে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের বদলে কাজ করছেন সিলেট মহানগরীর বালুচর এলাকার এনামুল নামের এক ব্যক্তি। এর পেছনে ‘অদৃশ্য শক্তি’ কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ড্রেনের কাঠামো ভেঙে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনামুল বলেন, “নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে, কাজের মানে কোনো ত্রুটি হয়নি। এটি পরিকল্পনা ও লোড ক্যালকুলেশনে ভুল ছিল। ৭ ফুট উচ্চতার ড্রেনে মাত্র ৩ মি.
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক আছে। আমি কোথা থেকে ক্ষতিপূরণ দেব?”
ড্রেনের কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আল মাহমুদ বলেন, “লোড সঠিকভাবে হিসাব করে যতটুকু রড দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, ততটুকুই দেওয়া হয়েছে।”
কাজের মানের ব্যাপারে তিনি বলেন, “চোখের দেখায় মান বোঝা যাবে না। তবে কিউরিং সঠিকভাবে না করেই মাটি চাপা দেওয়ার কারণেই ড্রেন ভেঙে পড়েছে।”
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন সম্ভব
পারিবারিক জীবন থেকে সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে একমাত্র কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব বলে 'কোরআন নাযিলের উদ্দেশ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআন থেকে কল্যাণ লাভের উপায়' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা উল্লেখ করেছেন।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা সোসাইটি এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক এরাবিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম।
সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুস সালাম সরকারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনা উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক স্কলার ড. নাসিমা হাসান লেখক ও গবেষক ড. সাজেদা হোমায়রা এবং গবেষক ও শিক্ষক ড. আবদুল হালিম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম। তিনি বলেন, কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা না হয়, তবে আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোনোভাবেই পরিবর্তন আসবে না। জবাবদিহিতা হতে হবে আল্লাহর কাছে। আল্লাহভীতি না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সফল হতে পারেনা।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক জীবন থেকেই কোরআন সুন্নাহ অনুসরণ করতে হবে। সমাজ জীবন আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে আমানতদারীতার সাথে কোরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে। একমাত্র কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কল্যাণ লাভ করা সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, কোরআনকে জানার জন্য মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কোরআন প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। কোরআনকে বাহন হিসেবে নিয়ে কীভাবে সমাজ পর্যন্ত পৌঁছানো যায় সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুস শহীদ নাসিম বলেন, কোরআন সম্পর্কে আমাদের ভয়াবহ অজ্ঞতা রয়েছে। এই অজ্ঞতা থেকে যদি বের হতে না পারি তাহলে কোরআন থেকে আমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারবো না। কোরআন শুধু খতম দিলে হবে না। কোরআন নাজিল হয়েছে জানা-বোঝা ও মানার জন্য। কোরআনের আদেশ-নিষেধ পালন করতে হবে।