ইসরায়েলের বিমানবন্দর এলাকায় আঘাত হানলো হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র
Published: 4th, May 2025 GMT
ইয়েমেন থেকে হুতিদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় আঘাত হেনেছে। রবিবার এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানবন্দর এলাকার একটি রাস্তা ও একটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার সকালে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্রটি গুলি করে ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইসরায়েলি পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ইয়ার হেটজরোনি সাংবাদিকদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ফলে সৃষ্ট একটি গর্ত দেখিয়েছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে টার্মিনাল ৩-এর একটি পার্কিং লটের কাছে একটি রাস্তার পাশে ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়েছিল।
হামলার পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, “যে আমাদের ক্ষতি করবে, তার সাতগুণ ক্ষতি করা হবে।”
ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, হামলায় আহত আটজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেন গুরিওনে বিমানের উড্ডয়ন এবং অবতরণ পুনরায় শুরু হয়েছে এবং কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।
তবে, বেন গুরিওনের লাইভ এয়ার ট্র্যাফিক সাইট অনুসারে, ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়ারেন বাফেটের বেড়ে ওঠা, জীবন, বিয়ে ও বিনিয়োগের যত কাহিনি
আগামী ৩০ আগস্ট তাঁর বয়স হবে ৯৪ বছর। এখনো খেতে পছন্দ করেন চিজ বার্গার আর চেরি কোকাকোলা। চুটিয়ে কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলেন। ‘ব্রেকিং ব্যাড’ ওয়েব সিরিজের দারুণ ভক্ত। ৬৫ বছর ধরে একটি বাসাতেই থাকেন। লেনদেন করেন নগদ অর্থে। আর যা আয় করেন, বিলিয়ে দেন তার প্রায় সবটাই।
বলছি ওয়ারেন বাফেটের কথা, বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারী। তিনি এমন এক মানুষ, যাঁর কোনো শত্রু নেই বললেই চলে। নামটা যেন কেবলই ভালো লাগা আর শ্রদ্ধার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১১ সালে তাঁর গলায় প্রেসিডেনশিয়াল গোল্ড মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওয়ারেন বাফেট কেবল একজন শীর্ষ ধনীই নন, একই সঙ্গে অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও ভালোবাসার মানুষ।’ ভালোবেসে তাঁকে ডাকা হয় ‘ওমাহার জাদুকর’।
ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আবার কেউ কেউ বলেন, বাফেট যত ভালো বিনিয়োগকারী, তার চেয়েও ভালো ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক। বাফেট যেখানে বিনিয়োগ করেন আর যেভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালান, সেটাকেই আদর্শ মানা হয়। আসলে বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি কিংবদন্তিতুল্য আর ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম শ্রেণির। ফোর্বস পত্রিকার ২০২৪ তালিকা অনুযায়ী বাফেটের সম্পদের পরিমাণ এখন ১৩৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের বাজেট কত জানেন তো? ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে, তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষীদের একজন। ২০০৬ সালে তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশই দানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখন পর্যন্ত দান করেছেন প্রায় ৫৬ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
যেভাবে বেড়ে ওঠাওয়ারেন বাফেটের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহায়, ১৯৩০ সালের ৩০ আগস্ট। হাওয়ার্ড ও লেইলা বাফেট দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। হাওয়ার্ড দম্পতি বিয়ে করেছিলেন ১৯২৫ সালে। বড় বোন ডরিসের জন্ম ১৯২৮ সালে আর ছোট বোন বার্টি ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে তিন বছরের ছোট।
মা ও দুই বোনের সঙ্গে বাফেট