বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কোনাবাড়ীতে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ২২৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। 

শনিবার (৩ মে) গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার শিয়ালকোলা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ। কোনাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান (মতি), বাসন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারী, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গাজীপুর জেলা সভাপতি মো.

হিরা সরকার, বাসন থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রকিব সরকার, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শান্ত বাবুসহ ২২৬ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। 

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে ফেনসিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার কারখানায় ডাকাতি

কোনাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “আদালতের আদেশে মামলা হয়েছে। পরে ২২৬ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরো ১০০-১৫০ জনের নামে মামলাটি রুজু হয়েছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন র ন ম মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ডুবে যাওয়া ট্রলারের সঙ্গে কুয়াকাটায় ভেসে এল জেলের মরদেহ

ডুবে যাওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। এতে মিলেছে এক নিখোঁজ জেলের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের পূর্ব দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্কসংলগ্ন এলাকায় ট্রলারটি খুঁজে পাওয়া যায়।

মৃত ওই জেলের নাম ইদ্রিস হাওলাদার (৫০)। তিনি মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা। এক ব্যক্তি নিজেকে ইদ্রিসের স্বজন দাবি করে লাশটিকে শনাক্ত করেছেন। ওই ট্রলারের থাকা আরও তিন জেলে এখনো নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ১৫ জেলেসহ এফবি সাগরকন্যা নামের মাছধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। সেখানে ৪ দিন ভেসে থাকার পর ১০ জেলেকে আরেকটি ট্রলারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। পরে ১ আগস্ট নজরুল ইসলাম নামের ওই ট্রলারে থাকা এক জেলের মরদেহ ভেসে আসে কুয়াকাটা সৈকতের মীরা বাড়ি পয়েন্ট এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইদ্রিস হাওলাদারের মরদেহসহ ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ