ময়মনসিংহে চালকের গলা কেটে রিকশা ছিনতাই
Published: 23rd, October 2025 GMT
ময়মনসিংহে চালকের গলা কেটে রিকশা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাতে নগরের ভাটিবাড়েরা এলাকার বাইপাস সড়কে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত চালকের নাম মাসুদ মিয়া (৩৮)। তিনি ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ভালুকজান এলাকার খোরশেদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল বিকেল চারটার দিকে ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হন মাসুদ মিয়া। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের ভাটিবাড়েরা এলাকার বাইপাস সড়কে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর রাতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালের মর্গ থেকে আলামত সংগ্রহ করেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মাসুদ মিয়াকে ভাটিবাড়েরা এলাকার বাইপাস সড়ক থেকে নটরডেম কলেজ সড়কের পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যা করে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুদ দৌড়ে বাইপাস সড়কে এসে পড়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন এক চিকিৎসক। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটারে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র সম্পর্কিত রোগের চলমান চিকিৎসার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিক সার্জন অব বাংলাদেশ (এপিএসবি) ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু সার্জারি বিভাগ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটরিয়ামে এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি মো. আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব বর্মণের সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। সেখানে লেখার জন্য টেবিল রাখতে হয়েছে বলে জানান ধনদেব।
এ সময় ডিজি বলেন, ‘আপনি কার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, কথাবার্তা হুঁশ করে বলবেন।’ ডিজি নিজের সঙ্গের লোকজনকে ভিডিও করতে বলেন। তিনি বলেন, ‘যারা ডিজির সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, তারা রোগীর সঙ্গে কেমন ব্যবহার করে?’ তখন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি রোগীর সঙ্গে অনেক ভালো বিহ্যাব করি। কিন্তু যারা দায়িত্বে আছে, তাদের সঙ্গে আমার বিহ্যাব ভালো না।’
ডিজি বলেন, ‘আপনি তো বিহ্যাবই শিখেন নাই।’ এ সময় চিকিৎসক বলেন, ‘ঢাকায় তিন দিনের ট্রেনিং করলাম। আপনার দুদিন আসার কথা ছিল, একদিনও আসেননি।’ এ সময় ডিজি ও চিকিৎসকের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। চিকিৎসক বলতে থাকেন, ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম।’
তখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস ও উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু জাফর বলেন, ‘বাংলাদেশের সব হাসপাতালেই ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী। আমাদের হাসপাতালের সংখ্যা বাড়াতে হবে ও জনবল বাড়াতে হবে। যেকোনো সময় হিসাব করলে দেখা যাবে, সারা দেশে ১৫ হাজার রোগী মেঝেতে থাকে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে গেলে সময়ের দরকার, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সময় তো খুবই কম। এটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয়।’
পরবর্তী সময়ে শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র সম্পর্কিত রোগের চলমান চিকিৎসার সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মহাপরিচালক। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রুহুল আমিন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাজমুল আলম খান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস, অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিক সার্জন অব বাংলাদেশের (এপিএসবি) সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহসভাপতি মো. মোকারাবিন প্রমুখ।