প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা
Published: 6th, November 2025 GMT
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা এই দুই বিষয়ে শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার অপরাজেয় বাংলার সামনে সংগীত বিভাগের আয়োজনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য হেমা চাকমা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় গান আমাদের উদ্যমী (স্পিরিট) করেছিল। এই গানগুলোকে কি আমরা অস্বীকার করতে পারব? চব্বিশের আন্দোলনে কি এই সংগীত ভূমিকা রাখেনি?’ তিনি আরও বলেন, ‘গান এমন একটি বিষয়, এটি চাইলেই বাদ দিতে পারব না। গানের মাধ্যমে আমরা দেশকে চাই। অন্যদিকে আমাদের মেয়েরা শরীরচর্চার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা অবস্থান তৈরি করেছে।’
সংগীত বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী ওহি বলেন, ‘আমরা অনেকে এই বিভাগে পড়াশোনা করে শিল্পী হব না। অনেকেরই ইচ্ছা থাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংগীতের শিক্ষক হওয়া। কিন্তু সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। সংগীত মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম তৈরি করে। সংগীত হলো প্রতিবাদের ভাষা। জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি, সংগীত কীভাবে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কাজ করেছে।’
থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো.
আজকের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্মাদ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে হবে। আগে প্রতিবাদের গান গাইতাম। এখন গান গাওয়াটাই প্রতিবাদ।’ তিনি বলেন, বর্তমানে একদল মানুষ সংগীত ও ধর্মকে সামনাসামনি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। গান দিয়েই সবাইকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান এই শিল্পী।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে দুই দিনে এক ট্রাক ও চার ট্রাক্টরভর্তি পাথর জব্দ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাথর লুট থামছে না। সম্প্রতি পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর লুটের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। মামলার পাশাপাশি লুট করা পাথর আটক করে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্রে। অভিযানে নেমেছিল প্রশাসনের পাশাপাশি যৌথ বাহিনী। এরপরও পাথর লুটপাটকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকায় লুটপাট কমলেও লুট থামছে না ‘পাথরের খনি’খ্যাত শাহ আরেফিন টিলায়। এরই মধ্যে এই টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর লুট হয়ে গেছে। টিলা কেটে লুট করা হয়েছে পাথরগুলো। এরপরও থামছে না পাথর লুট।
শাহ আরেফিন টিলা থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় গতকাল বুধবার রাতে চার ট্রাক্টরভর্তি পাথর ও আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করেছে পুলিশ। তবে উদ্ধার করা পাথরের পরিমাণ জানা যায়নি।
এক ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে