নদী থেকে বালু উত্তোলন, ২ জনকে কারাদণ্ড
Published: 23rd, October 2025 GMT
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারি ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এলজিইডির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড-এর দুই কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম অভিযুক্তদের এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরো পড়ুন:
পাহাড়ি ছড়া থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন, ৭ জনের জেল-জরিমানা
ধামরাইয়ে অটো রাইস মিলে জরিমানা
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড-এর ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার নুর নবী (৩৮) ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো.
সূত্র জানায়, চরহাজারি ইউনিয়নের তেল্লারঘাট থেকে দনিপাড়া কানেক্টিং ব্রিজের নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য ড্রেজার মেশিন দিয়ে ছোট ফেনী নদী থেকে বালু উত্তোলন করছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউএনও প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মকর্তাকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার পাইপ ধ্বংস করা হয় এবং একটি ইঞ্জিন জব্দ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, “নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পরিবেশ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সরকারি অনুমতি ছাড়া কেউ বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উন্নয়ন কাজের নামে কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।”
অভিযানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সহায়তা করেন।
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ আটক অভ য গ কর মকর ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ি এক কিশোরীকে (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাটিরাঙ্গার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির নাম রিমন ত্রিপুরা (২২)।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় একই ঘটনায় অভিযুক্ত এক কিশোরসহ দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরেকজন এখনো পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী গত সোমবার উপজেলার একটি ইউনিয়নে বেড়াতে এসেছিল। ওই রাতে স্থানীয় একটি মন্দিরে শ্যামাপূজা দেখতে যায় সে। একপর্যায়ে আসামিরা কিশোরীকে আরেকটি মন্দিরে পূজা দেখতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সেখান থেকে ঘটনার এক দিন পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে সালিস ডাকা হয়। সালিসে অভিযুক্ত এক কিশোর ও রনি বিকাশ ত্রিপুরা নামের এক তরুণ উপস্থিত হলে স্থানীয় লোকজন আটক করে তাঁদের মাটিরাঙ্গা থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজন গ্রেপ্তার৪ ঘণ্টা আগেজানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আরেকজনকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।