মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে কালো পতাকা মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।  জেলা ছাত্রসেনার উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (৬ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা রইস উদ্দিন হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে দেশে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এক ভয়ংকর বাধা তৈরি করা হয়েছে। এখনো খুনিদের গ্রেপ্তার না করা এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বর্বরোচিত হামলা রাষ্ট্রের নৈতিক ও মানবিক ব্যর্থতার চরম উদাহরণ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট নেতা এম সোলায়মান ফরিদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদুল আলম। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ওসমান। সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা সোহাইল উদ্দীন আনসারী।

আরো পড়ুন:

মহেশখালীতে যুবককে গুলি করে হত্যা

নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড 

গত ২৭ এপ্রিল সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দারাবাদ এলাকার একটি মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গাছে বেঁধে মারধর করেন একদল লোক। পরে সকাল ১০টার দিকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরদিন ভোরে কারাগারে তিনি মারা যান।

বক্তারা বলেন, বিগত সময়ে পুলিশের সঙ্গে হেলমেটবাহিনী নামে পরিচিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। এখনো সেই অপশক্তির ছায়া বিদ্যমান। যারা ছাত্রসেনার নিরস্ত্র কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

সোমবার (৫ মে) সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্র সেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে তারা দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এ কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদীতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। তার অভিযোগ, চট্টগ্রামে বিভিন্ন সংগঠনের কিছু সন্ত্রাসীও লাঠিসোঁটা হাতে পুলিশের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয়। এ সময় তিনি তাদের ৩৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের দাবি করেন।

তারা গ্রেপ্তার ছাত্রসেনা কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, রইস উদ্দিন হত্যার বিচার এবং গ্রেপ্তার মুক্তি ছাড়া আন্দোলন থামবে না।

সমাবেশে আগামী ৯ মে (শুক্রবার) বাদে জুমা দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়। মিছিল হবে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত ও ছাত্রসেনার ব্যানারে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুন নবী আলকাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা এনাম রেজা, শাহজাদা নিজামুল করিম সুজন, মুহাম্মদ আলমগীর বঈদী, এইচ এম শহীদুল্লাহ প্রমুখ। 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ছ ত রস ন র ম হ ম মদ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বললেন, এটা দুঃখজনক

পাকিস্তানে ভারতের হামলা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এটা দুঃখজনক।”

ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “আমরা ঠিক ওভাল অফিসে প্রবেশ করার সময় এই খবর পেলাম।”

ট্রাম্প বলেন, “আমি শুধু আশা করি, এটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাক।”

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে: ভারত

ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

৭ মে রাতে বিবিসির খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করে হামলায় হতাহতের জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে দুই দেশ যুদ্ধে জড়াক, তা তিনি চাননি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্পের প্রতিনিধি। অবশেষে পাকিস্তানে হামলা চালাল ভারত।

বিবিসি লিখেছে, ভারত সরকার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে অবশ্য বলা হয়েছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের ৫টি স্থানে আঘাত করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন লিখেছে, ৭ মে গভীর রাতে ভারতের এই হামলায় পাকিস্তানের অন্তত তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। 

বিবিসি লিখেছে, ভারত সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যার লক্ষ্য পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবস্থিত ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও হামলা পরিচালিত হচ্ছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। এই হামলায় পাকিস্তানের দায় দেখছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের মদদ দেয় ইসলামাবাদ। এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

সেই থেকে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই উত্তেজনার মধ্যেই ৭ মে গভীর রাতে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে হামলা করল ভারত। এখন পাকিস্তান কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় বা জবাব দেয়, তারপর ওপর নির্ভর করছে বাকিটা।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ