গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এর পর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি এই হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এসব হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার কথা এএফপিকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র । এ হামলার পর প্রশংসায় শামিল হয়েছেন বলিউড আর ‘কাপুরুষতা’ বলছেন পাকিস্তানি তারকারা।

ভারতের বিতর্কিত সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’খ্যাত নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের প্রশংসা করে এক্সে লিখেছেন ‘জয় হিন্দ’। এ পরিচালকের সঙ্গে যোগ দিয়ে বলিউড অভিনেতা অনুপম খেরও এর সমর্থনে এক্সে , ‘অপারেশন সিঁদুর’ লিখে গর্ব প্রকাশ করেছেন।
ভারতীয় অভিনেতা রিতেশ দেশমুখ ও ভারতীয় নির্মাতা মধুর ভান্ডারকরও ভারতের হামলার প্রশংসা করেছেন। রিতেশ দেশমুখ লিখেছেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতীয় সেনাদের স্যালুট। আমাদের সাহসী জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা।’ মধুর ভান্ডারকর পোস্টে লিখেছেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। অপারেশন সিঁদুর প্রমাণ করে, ভারত যেকোনো রকম হুমকির জবাব দিতে প্রস্তুত। ভারত মায়ের জয়।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল।

এদিকে ভারতের এ হামলাকে ‘কাপুরুষতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান ও হানিয়া আমির। ভারতের সামরিক এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে লেখিকা ফাতিমা ভুট্টোর পোস্ট করা একটি টুইট আবার শেয়ার করেন মাহিরা, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এক হৃদয়গ্রাহী বার্তায় লিখেছেন, ‘কাপুরুষ!!! আল্লাহ আমাদের দেশকে রক্ষা করুন, বিবেক জাগ্রত হোক। আমিন।’
অভিনেত্রী হানিয়া আমির তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই হামলাকে ‘কাপুরুষতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। ঘুমন্ত মানুষের ওপর এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে ক্ষোভ ঝেড়েছেন এ অভিনেত্রী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডুবে যাওয়া ট্রলারের সঙ্গে কুয়াকাটায় ভেসে এল জেলের মরদেহ

ডুবে যাওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। এতে মিলেছে এক নিখোঁজ জেলের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের পূর্ব দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্কসংলগ্ন এলাকায় ট্রলারটি খুঁজে পাওয়া যায়।

মৃত ওই জেলের নাম ইদ্রিস হাওলাদার (৫০)। তিনি মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা। এক ব্যক্তি নিজেকে ইদ্রিসের স্বজন দাবি করে লাশটিকে শনাক্ত করেছেন। ওই ট্রলারের থাকা আরও তিন জেলে এখনো নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ১৫ জেলেসহ এফবি সাগরকন্যা নামের মাছধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। সেখানে ৪ দিন ভেসে থাকার পর ১০ জেলেকে আরেকটি ট্রলারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। পরে ১ আগস্ট নজরুল ইসলাম নামের ওই ট্রলারে থাকা এক জেলের মরদেহ ভেসে আসে কুয়াকাটা সৈকতের মীরা বাড়ি পয়েন্ট এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইদ্রিস হাওলাদারের মরদেহসহ ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ