ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে আগাম কিছু বলা কঠিন। কারণ পুরো ঘটনা একটু একটু করে খোলাসা হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতি বদলাতে থাকে বলে পুরো চিত্র সহজে বোঝা যায় না। তবে এ ধরনের ঘটনা শুধু দেশ দুটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়, এখানে বাইরের কিছু বিষয়ও যুক্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে কাছের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই আমাদের প্রধান আগ্রহ। 
বিশ্ব এখন খুব ছোট হয়ে এসেছে। যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও বাংলাদেশে পড়েছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ তীব্র হলে তার প্রভাবও পড়তে বাধ্য। তাদের সংঘাতের কারণে ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তারা কয়েক দিন দেশ দুটির আকাশসীমা এড়িয়ে চলবে। এসব কিছু স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে।  বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, এই সংঘাত তীব্রতর হবে কিনা। যদিও এখন পর্যন্ত ভারত পেহেলগামে (কাশ্মীর) হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের ভূমিকা প্রমাণে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত দেখাতে পারেনি। পাকিস্তান প্রস্তাব করেছিল, ঘটনার যৌথ ও আন্তর্জাতিক তদন্ত হোক। এতে সত্যিকার অপরাধীরা বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু ভারত সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এর নেপথ্যে পাকিস্তান জড়িত থাকতে পারে, কিন্তু তা এখনও স্পষ্ট নয়। 
আমার মনে হয়, ভারত যে আক্রমণ করেছে– এটি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অভ্যন্তরীণভাবে সুবিধা পেতে ভারত সরকার পাকিস্তানে এই হামলা চালাতে পারে। বিশেষত হিন্দুত্ববাদীদের কাছে পাকিস্তান একটি শত্রু রাষ্ট্র বলে বিবেচিত।

এখন প্রশ্ন হলো, ঘটনা কোন দিকে যেতে পারে? এ ক্ষেত্রে দুই দেশের কর্তাদের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। যেমন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিফ মুনির। তিনি একজন ভিন্ন ব্যক্তিত্বের লোক। দেশটির অতীতের অনেক সেনাপ্রধানের মনস্তত্ত্বের চেয়ে তাঁর মনস্তত্ত্ব ভিন্ন। এমনকি পেহেলগামের ঘটনার আগেও তাঁর এক বিবৃতি আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। ভারতের মিডিয়াগুলো খুব ব্যাপকভাবে সেই বিবৃতি প্রচার করেছে। সেখানে তিনি কোনো কিছু অস্পষ্ট রাখেননি। সব কিছু খোলাসা করেছেন। 
তার পরও সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটি স্পষ্ট করে বলা বেশ মুশকিল। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আগেও যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, এবারের সংঘাতকে আগের যুদ্ধগুলোর সঙ্গে মেলানো যায় না। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। কারণ এই মুহূর্তে অনেক আন্তর্জাতিক ইস্যু চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যেমন ভারত প্রকাশ্যভাবে ফিলিস্তিন বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষাবলম্বন করেছে। খবরের কাগজে আমরা দেখেছি, ভারতীয় সেনাসদস্য ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়। ভারত প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। আলজাজিরার মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এগুলো প্রকাশ পেয়েছে। দেশটি ইসরায়েলে বোমা ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই মুসলিম প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের বিরাজমান শত্রুতা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। 

আপাতদৃষ্টে দূরবর্তী ঘটনা মনে হলেও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এগুলোর একটি ভূমিকা রয়েছে। এভাবে দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে মোদির বৈঠক ইত্যাদি ঘটনা চলমান পরিস্থিতিতে ইন্ধন দিয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আক্রমণের বার্তা পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাদেরও এ পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বা ইতিবাচকভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। 

তবে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হবে বলে মনে হচ্ছে না। পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে একটু প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছে বলে মনে হয়, যদিও পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। ভারত কয়েকটি জায়গায় সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করতে পেরেছে, যেটি পাকিস্তানের পক্ষে করা সম্ভব বলে মনে হয় না। ভারত সন্ত্রাসী আস্তানার কথা বলে সহজেই হামলার নিশানা বানাতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেশটির আন্তর্জাতিক সম্মতিও পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাকিস্তানের এ ধরনের সুযোগ নেই। ভারতের আইএসপিআর থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তারা কোনো সামরিক এলাকায় হামলা করেনি। আমার বিশ্বাস, বিবৃতিটির উদ্দেশ্য পাকিস্তানের ওপর চাপ প্রয়োগ করা। পাকিস্তানের এভাবে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করে কোনো বিবৃতি দেওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। কারণ সামরিক ঘাঁটি ছাড়া পাকিস্তান কোথায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাবে– এই সুযোগ দেশটির নেই। পাকিস্তান বলতে পারবে না– ভারতের ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রয়েছে, সুতরাং সেখানে আমরা হামলা চালিয়েছি। 

পাকিস্তানের হামলা করার সুযোগ রয়েছে মাত্র দুটি। যে জায়গা থেকে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেখানে পাল্টা জবাব দেওয়া, যা পাকিস্তান চিহ্নিত করতে পারবে কিনা, তাতেও সন্দেহ রয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত দাবি করেছে, তারা নৌ, বিমান ও স্থল তিনটি পথে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে মন্দির কিংবা কোনো জনবসতি অঞ্চলে হামলা চালালে সেটি খারাপ নজির তৈরি করবে। আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তান অসুবিধায় পড়বে। দ্বিতীয়ত, সামরিক ঘাঁটিতে হামলা ছাড়া পাকিস্তানের অন্য কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং ভারত খুব পরিকল্পিতভাবে বিবৃতিটি দিয়েছে, যেখানে তারা দাবি করেছে, তারা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেনি।

প্রশ্ন হলো, পাকিস্তান ভারতের সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি আরও তীব্র করে তুলবে কিনা? যদি তারা সেটি করে তবে ঘটনার দায়ও তাদের নিতে হবে। এদিক থেকেও পাকিস্তানের অবস্থান অনুকূলে নয়। তবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যেহেতু বৈরিতা রয়েছে, সুতরাং সেনাপ্রধান মুনিরও হামলার প্রতিশোধ নিতে চাইবেন। এগুলো তাদের পুরোনো ও চলমান উত্তেজনার ভিত্তিতে কিছু মূল্যায়ন, যা বিবেচনায় রাখা জরুরি। 

ভারতের ব্যাপারে জাতি গঠনের বিষয়টি এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না। ভারত নিয়ে আমরা গর্ব করতাম যে, তারা পুরো জনগোষ্ঠীকে একই পরিচয়ে তৈরি করতে পেরেছে– কাশ্মীর, মিজোরাম, আসামের মতো কয়েকটি অঞ্চল ছাড়া। তবে তাদের মধ্যে ভারতীয় পরিচয় প্রধান হয়ে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু মোদির শাসনামলে এই যৌথ অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে এটা এখনও সম্ভব হয়নি। আমরা এখনও বাঙালি, বাঙালি মুসলমান ইত্যাদি পরিচয় নিয়ে বিতর্কে রয়ে গেছি। ভারতের এ সমস্যা আমাদের কাছে আপাতদৃষ্টিতে পাকিস্তান-ভারত সংঘাতের সঙ্গে যুক্ত মনে নাও হতে পারে। তবে এই অভ্যন্তরীণ সংকটের পেছনে নিশ্চয় একটি জাতিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক নেতারাও এই মুহূর্তে বিভিন্ন চাপের মধ্যে রয়েছেন। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টসহ অনেকে ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এখনও আশা করা যায়, পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে আসতে পারে। 

ওবায়দুল হক: সহযোগী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন পর স থ ত ইসর য় ল চলম ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘তাণ্ডব’মুক্তির পর দর্শকের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে

 

সাবিলা নূর। অভিনেত্রী ও মডেল। গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তাণ্ডব’। চলচ্চিত্রে অভিষেক, অভিনয় নিয়ে ভাবনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন

চলচ্চিত্রে অভিষেক হলো, কেমন লাগছে?
‘তাণ্ডব’ সিনেমার মুক্তির পর থেকে এখনও ঘোরের মধ্যে আছি। যে সিনেমা নিয়ে এতদিন কাজ করেছি, সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টায় ছিলাম– সেটি এখন দর্শক দেখছেন। এসব ভেবে অন্যরকম এক অনূভূতি হচ্ছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ‘লিচুর বাগান’, ‘তোমাকে ভেবে’ গানটি যখন বড় পর্দায় দেখেছি, তখন আসলে অন্যরকম ভালোলাগা ছুঁয়ে গিয়েছিল আমায়। দর্শক সিনেমাটি খুব সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছেন। 

দর্শকের সঙ্গে নিজের প্রথম সিনেমা দেখার অনুভূতি কেমন ছিল?
সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনই দর্শকের সঙ্গে হলে বসে সিনেমাটি দেখেছি। এটি আমার জন্য স্মরণীয় একটি দিন ছিল। দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখার অনুভূতিই অন্যরকম। সরাসরি তাদের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। 

শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি একটু বলতেন?
শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমে কাজ করতে গিয়ে একটু নার্ভাস ছিলাম। প্রথম দিন, প্রথম দৃশ্যেই তাঁর সঙ্গে অভিনয়! একটু ভয়ও কাজ করছিল। তিনি সেটে আমার জন্য পরিবেশ সহজ করে দিলেন। শুটিংয়ের সময় কখনও বুঝতে দেননি, আমার সঙ্গে এটি তাঁর প্রথম কাজ। বরং যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন স্মৃতিতে থাকার মতো। এত বড় মেগাস্টার অথচ সহযোগিতাপরায়ণ– এটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর কাছে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরাপ্রাপ্তি। 

সাবিলা নূর থেকে ‘নিশাত’ হয়ে ওঠার সফরটি কেমন ছিল?
খুবই রোমাঞ্চকর। নির্মাতা রায়হান রাফিসহ আমার টিমের বেশ সহযোগিতা পেয়েছি। নাটকে আমি অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। বিভিন্ন ধরনের চেহারায় আমাকে দেখা গেছে। দর্শক যখন আমাকে হলে গিয়ে দেখবেন, তখন যেন একটা নতুন লুকে তারা আবিষ্কার করেন– এমন ভাবনা ছিল মাথায়। লুকের ব্যাপারে অনেকবার টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি।
শাকিব খানের পাশাপাশি সঙ্গে জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সালাউদ্দিন লাভলু, ফজলুর রহমান বাবু, রোজী সিদ্দিকীদের মতো এত গুণী অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন সিনেমায়। তাদের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করেছি। এর চাপ তো ছিল। এ কারণে নিশাত চরিত্রকে পর্দায় ফুটিতে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল।

অভিষেক হলো, এখন নিশ্চয়ই বড় পর্দায় নিয়মিত দেখা যাবে?
সিনেমায় অভিষেক ভালো হয়েছে। তাই সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। বাকিটা নির্ভর করছে দর্শক ও নির্মাতাদের ওপর। এখন আমাদের দেশে মানসম্পন্ন সিনেমা হচ্ছে। নির্মাতারা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে  কাজ করছেন। আশা করছি, আগামীতে আরও ভালো সিনেমায় কাজ করার সুযোগ মিলবে। 

ছোট পর্দায় অভিনয় নিয়ে কী ভাবছেন?
সত্যি কথা বলতে কী, আমি এখনও সেভাবে মাধ্যমের কথা চিন্তা করিনি। এখনও সিনেমাটি চলছে। আমার লক্ষ্য সব সময় ভালো কাজ করার। আমার সিনেমার ক্যারিয়ার সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে– এটি ছোট পর্দার কাজের কারণেই হয়েছে। ছোটপর্দার দর্শকরা যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তাদের কারণেই এ পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস পেয়েছি। সেখানে আমার কৃতজ্ঞতা অবশ্যই কাজ করবে। ছোটপর্দায় বাছাই করে, ভালো লাগার মতো কিছু চরিত্র থাকলে অবশ্যই অভিনয় করব। 
 
ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য সিনেমা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
সব সিনেমাই বেশ ভালো করেছে। ভিন্ন ভিন্ন জনরার সিনেমা হয়েছে। তাসনিয়া ফারিণ ছোটপর্দার অনেক দিন কাজ করেছেন। এখন বড় পর্দায় কাজ করছেন। আমি তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছি। ‘উৎসব’ সিনেমাটিও ভালো লেগেছে। এ সিনেমায় গুণী অভিনেতাদের দেখতে পেয়েছি। এতে সাদিয়া আয়মান, সৌম্যও খুব ভালো করেছেন। নারীকেন্দ্রিক সিনেমা ‘এশা মার্ডার’ দর্শক পছন্দ করেছেন। এখন যারা কাজ করছি কিংবা ভবিষ্যতে যারা ভালো কাজ করতে চাই, তাদের জন্য এটি ভালো সংবাদ। দুই ঈদের সিনেমারই সাফল্য এসেছে। এতে অভিষ্যতে আমরা ভালো কাজের মোটিভেশন পাব। এটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই ভালো একটি ব্যাপার। 

শুটিংয়ে ফিরবেন কবে?
এখন বলতে পারছি না। কয়েকটা গল্প নিয়ে কথা চলছে। পাকাপাকি হলে অবশ্যই জানাতে পারব। 

দেখতে দেখতে অভিনয়ে এক দশক পার করে ফেলেছেন। পেছনে ফিরে তাকালে কী দেখতে পান?
ছোটপর্দা কিংবা ওটিটিতে আমি যে কাজগুলো করেছি, এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের বেশ সাপোর্ট পেয়েছি বলেই এতদূর আসতে পেরেছি। দর্শকের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। এ জন্য অনেক স্ট্রাগলও করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে আজকে আমি। আগামীতে দর্শকদের যেন হতাশ না করি, এটাই আমরা চাওয়া থাকবে। 

দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলবেন...
তাদের তো অনেক বড় ধন্যবাদ জানাতে চাই। ‘লিচুর বাগান’-এ গানটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তারা আমাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসা দিয়েছেন। সিনেমাটি মুক্তির পর তাদের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে। দর্শকের এই ভালোবাসা আমাকে ভীষণ শক্তি দেয় ভবিষ্যতে ভালো কাজ করার জন্য। আশা করছি, আগামীতে তারা আমার সঙ্গে এভাবেই থাকবেন।
  

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমরা আরও প্রযুক্তিনির্ভর ঋণ প্রক্রিয়া চালু করব
  • এক পশলা বৃষ্টিতে...
  • বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উন্নতির লক্ষণ দেখছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
  • তিন দেশ থেকে আনা হচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার টন সার
  • ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ, দাবি ট্রাম্পের
  • যুদ্ধবিরতিতে এখনও স্বীকৃতি দেননি খামেনি
  • দর্শকের এই ভালোবাসা আমাকে ভীষণ শক্তি দেয়: সাবিলা
  • ‘তাণ্ডব’ মুক্তির পর দর্শকের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে: সাবিলা
  • ‘তাণ্ডব’ মুক্তির পর দর্শকের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে
  • ‘তাণ্ডব’মুক্তির পর দর্শকের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে