ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলায় বাড়ছে বৃহত্তর সংঘাতের ঝুঁকি। এমন অবস্থায় দেশ দুটির মধ্যকার সংঘাত “আমাদের কোনও বিষয় নয়” বলে জানিয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের উত্তেজনা কমাতে ওয়াশিংটন চেয়েছিল, কিন্তু ‘এটা মূলত আমাদের কোনও বিষয় নয়’।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, আমরা যা করতে পারি তা হলো— তাদের উত্তেজনা কমাতে কিছুটা উৎসাহিত করার চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা এমন কোনো যুদ্ধে জড়াবো না, যা মূলত আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং যেখানে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’

আন্তর্জাতিক সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন রাখার পক্ষে বরাবরই কথা বলে আসা ভ্যান্স আরও বলেন, এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনও ভূমিকায় যাচ্ছে না, তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। 

এর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি যদি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি, তাহলে অবশ্যই পাশে থাকব।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে লজ্জাজনক বলে আখ্যায়িত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র ক ন য ক তর ষ ট র আম দ র ক ন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ আরও একজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের সীমান্তের চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম মো. রিয়াজ (২১)। ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকাল ছয়টায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হলো। নিহত শ্রমিকের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া গ্রামে।

১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চরপাড়ার গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হন। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চারজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গুদামের মালিক মাহবুবুল আলম, শ্রমিক মো. ইদ্রিস, মো. ইউসুফ, মোহাম্মদ ছালেহ ও হারুণ মারা যান। সর্বশেষ মৃত্যু হলো মো. রিয়াজের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ