চ্যাম্পিয়নস লিগে পথচলা শেষ অনেক আগেই। কোপা দেল রে–তেও ফাইনালে হার বার্সেলোনার কাছে। এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ এখনো খালি হাতে বসে আছে। শেষ আশা, লা লিগা। সেটাও শেষ হয়ে যেতে পারে আগামীকাল ১১ মে এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার কাছে হারলে।

৩৪টি করে ম্যাচ হয়ে গেছে। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা ৪ পয়েন্ট এগিয়ে রিয়ালের চেয়ে। কাল আবার রিয়াল হারলে এরপর আর লিগ জয়ের আশা নেই বললেই চলে কার্লো আনচেলত্তির দলের। আর সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, এল ক্লাসিকোতে এখন হারই নিয়তি রিয়াল মাদ্রিদের! এক নয়, দুই নয়, তিনবার এই মৌসুমে বার্সার কাছে হেরেছে রিয়াল। কখনো ৪-০, কখনো ৫-২, কখনো আবার ৩-২। তবু রোববারের এল ক্লাসিকোর আগে রিয়ালের পরিসংখ্যান কথা বলছে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে!

আরও পড়ুনভারত না পারলে আইপিএল আয়োজন করতে চায় ইংল্যান্ড১ ঘণ্টা আগে

ভাবছেন, এ কেমন কথা! টানা তিনটি ক্লাসিকো হারের পর পরিসংখ্যান কীভাবে রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে হয়! আরে, এল ক্লাসিকোটা কোথায় সেটা মনে আছে তো? বার্সেলোনার মাঠে।
এবার তাহলে সেই বার্সার মাঠে এল ক্লাসিকোর সাম্প্রতিক ফলগুলো একটু ঘেটে দেখুন। বার্সেলোনায় শেষ পাঁচটা ক্লাসিকোতে চারবার জিতেছে কারা? ওই রিয়াল মাদ্রিদ! দশটা অ্যাওয়ে ক্লাসিকোতে পাঁচটা জয়, তিনটা ড্র রিয়ালের! যেন বার্সার মাঠটাই তাদের ‘সেকেন্ড হোম’।

৩২তম কোপা দেল রে ট্রফি নিয়ে বার্সেলোনার উদ্‌যাপন।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক ল স ক

এছাড়াও পড়ুন:

একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম‍্যান আরাফাত

সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক আমি। বাসার কাছেই ছিল একটি ওষুধের দোকান। সেখানে পত্রিকা রাখা হতো। স্কুলে যাওয়া–আসার পথে সেই দোকানে বসে পত্রিকা পড়তাম।

কলেজে ওঠার পর প্রথম আলোতে একদিন বাংলা চ‍্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর পড়ি। পড়ে রোমাঞ্চিত হই। চিন্তা করি, কীভাবে সম্ভব সাগরে সাঁতার কাটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও সেটি মাথায় ছিল। ২০১৩ সালে সাঁতারু লিপটন সরকার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। বাংলা চ‍্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি উৎসাহ দিলেন। শুরু হলো অনুশীলন। ২০১৫ সালে সাঁতরে পাড়ি দিলাম ওই চ্যানেল। সেই খবর ছাপল প্রথম আলো। কাছের-দূরের, কম পরিচিত-বেশি পরিচিত—সবাই খবরটা জেনে শুভেচ্ছা জানালেন। অনেক উৎসাহ পেলাম।

আমার রোমাঞ্চকর যাত্রা অব্যাহত থাকল। ২০১৭ সালে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে নামলাম। উদ্দেশ্য ছিল ‘দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থতা’র বার্তা ছড়ানো। ২০ দিনের সেই যাত্রার গল্প ছাপা হলো ‘ছুটির দিনে’তে। শিরোনাম আজও মনে আছে, ‘দৌড়ে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’। খবরটি দেখে সেই দিন এতটা নার্ভাস লাগছিল যে সারা দিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি।

‘চ্যালেঞ্জ রথ’ ট্রায়াথলনে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ