এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী
Published: 8th, November 2025 GMT
দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।
এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।
মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।
সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন পথচ র সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিকেলের নাস্তায় থাকুক ‘মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ’
বিকেল হলেই ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। শীত-আসি আসি করছে। এমন দিনে বিকেলের নাস্তায় রাখতে পারেন মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ। ‘ক্যাজুয়ালি পেকিশ‘ অবলম্বনে জানিয়ে দিচ্ছি রেসিপি।
উপকরণ
কুমড়া: ৫০০ গ্রাম (খোসা ও বীজ ছাড়ানো), মিষ্টি আলু: ৫০০ গ্রাম (খোসা ছাড়ানো), পেঁয়াজ: কুচি করা ১টি, রসুন: কুচি করা ৩ কোয়া, মুরগি বা সবজির স্টক: ১ লিটার, ঘন ক্রিম: আধা কাপ, জলপাই তেল: ২ চা-চামচ, লবণ: পরিমাণমতো, সাদা গোলমরিচ: পরিমাণমতো, মরিচের গুঁড়া: সিকি চা-চামচ এবং দারুচিনির গুঁড়া: সিকি চা-চামচ।
আরো পড়ুন:
পাঁচটি উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায় ‘দোসা’
জ্বরের রোগীর জন্য ভালো ‘আনারসের ফ্রাইড রাইস’
প্রথম ধাপ
শুরুতে ওভেন ২২০ সেন্টিগ্রেড বা ৪৩০ ফারেনহাইট তাপমাত্রায় প্রিহিট করে নিন। কুমড়া ও মিষ্টি আলু টুকরা করে কেটে করুন। এবার বেকিং ট্রেতে পার্চমেন্ট পেপার বিছিয়ে কাটা টুকরাগুলোর সঙ্গে ১ চা-চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। এক স্তরে ছড়িয়ে দিন। ওভেনে ৩০ মিনিট বেক করুন। হালকা বাদামি রং না হলে আরও কিছুক্ষণ বেক করুন।
দ্বিতীয় ধাপ
ওভেনের টাইমার শেষ হওয়ার প্রায় ৫ মিনিট আগে, একটি ভারী তলার হাঁড়িতে বাকি জলপাই তেলে পেঁয়াজ ও রসুন কম আঁচে নরম করে নিতে হবে। তারপর বেক করা কুমড়া ও মিষ্টি আলু হাঁড়িতে দিয়ে দিতে হবে। এর সঙ্গে একে একে স্টক, লবণ, মরিচের গুঁড়া ও গোলমরিচের গুঁড়া যোগ করুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। চুলা বন্ধ করে হাঁড়ির সবকিছু ব্লেন্ডারে ২ থেকে ৩ মিনিট ব্লেন্ড করুন, যতক্ষণ না স্যুপটি ঘন ও মসৃণ হয়।
সব শেষে ঘন ক্রিম মিশিয়ে দিন। প্রয়োজন হলে আরেকটু লবণ ও গোলমরিচ দিন।
সূত্র: ক্যাজুয়ালি পেকিশ
ঢাকা/লিপি