মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য রাজস্ব খাতভুক্ত ১১৩টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন চলছে। ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডের এসব পদে আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ৯ নভেম্বর।

পদের নাম ও বিবরণ

১. হাইড্রোগ্রাফার

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: গণিত, পদার্থ ও ভূগোল বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। হাইড্রোগ্রাফিতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থী অগ্রাধিকার পাবেন।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ২২,০০০–৫৩,০৬০/– (গ্রেড–৯)

২.

সহকারী প্রকৌশলী (নৌযান/ নৌ–ভান্ডার)

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: নৌ অথবা নৌ স্থাপত্য বিষয়ে কমপক্ষে স্নাতক প্রকৌশল ডিগ্রি বা ডিওটি দ্বিতীয় শ্রেণি।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ২২,০০০–৫৩,০৬০/– (গ্রেড–৯)

৩. উপসহকারী প্রকৌশলী (নৌ)

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: নৌ বা জাহাজ তৈরি বিষয়ে প্রকৌশল ডিপ্লোমা।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ১৬,০০০–৩৮,৬৪০/– (গ্রেড–১০)

৪. প্রথম শ্রেণির ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: প্রথম শ্রেণির ড্রাইভার হিসেবে সনদসহ অষ্টম শ্রেণি পাস। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থী অগ্রাধিকার পাবেন।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ১২,৫০০–৩০,২৩০/– (গ্রেড–১১)

৫. ওয়্যারলেস অপারেটর

পদসংখ্যা: ৫

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে এসএসসি পাস ও ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে সনদসহ কমপক্ষে প্রতি মিনিটে ১২টি শব্দ আদান–প্রদানে সক্ষম হতে হবে।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ১০,২০০–২৪,৬৮০/– (গ্রেড–১৪)

৬. লাইটকিপার

পদসংখ্যা: ৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৭০০–২৩,৪৯০/– (গ্রেড–১৫)

৭. দ্বিতীয় শ্রেণির ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ২

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: দ্বিতীয় শ্রেণির ড্রাইভার হিসেবে উপযুক্ত সনদসহ অভিজ্ঞতা।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৭০০–২৩,৪৯০/– (গ্রেড–১৫)

আরও পড়ুনজার্মানিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ: জেনে নিন নিয়ম ও সুবিধা০৬ নভেম্বর ২০২৫

৮. গ্রিজার কাম পাম্প ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড সার্টিফিকেটসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৩০০–২২,৪৯০/– (গ্রেড–১৬)

৯. কার্পেন্টার

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। কার্পেন্টারশিপে ট্রেড সার্টিফিকেটসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৩০০–২২,৪৯০/– (গ্রেড–১৬)

১০. গ্যাস কাটার

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে এসএসসি পাস ও ডিপিটিসি সনদ।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৩০০–২২,৪৯০/– (গ্রেড–১৬)

১১. গ্রিজার

পদসংখ্যা: ৭

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে এসএসসি পাস ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড সার্টিফিকেটসহ জাহাজে কাজ করার দুই বছরের অভিজ্ঞতা।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,০০০–২১,৮০০/– (গ্রেড–১৭)

১২. কচ্ছব (ডেক)

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। কচ্ছব হিসেবে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৮,৮০০–২১,৩১০/– (গ্রেড–১৮)

১৩. লস্কর

পদসংখ্যা: ৪৬

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে এসএসসি পাস।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৮,৫০০–২০,৫৭০/– (গ্রেড–১৯)

১৪. ভান্ডারি

পদসংখ্যা: ৩০

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস এবং রান্নার কাজে বাস্তব অভিজ্ঞতা।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৮,৫০০–২০,৫৭০/– (গ্রেড–১৯)

ফাইল ছবি: প্রথম আলো

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রপদস খ য পদস খ য কমপক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশাল ব্ল্যাকহোলে বিস্ময়কর আলোকচ্ছটার খোঁজ

প্রায় ১০ লাখ কোটি সূর্যের আলোর সমান শক্তিশালী এক ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ার বা কৃষ্ণগহ্বর আলোকচ্ছটার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি সবচেয়ে বড় আলোকচ্ছটা। নতুন পর্যবেক্ষণ করা ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারকে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বৃহৎ ও সবচেয়ে দূরবর্তী বলা হচ্ছে। এর অবস্থান পৃথিবী থেকে এক হাজার কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। আলোকচ্ছটার শক্তি প্রায় ১০ লাখ কোটি সূর্যের সমান।

একটি অতিভারী ব্ল্যাকহোল বৃহৎ কোনো নক্ষত্রকে গিলে ফেলছে বলে এই আলোকচ্ছটা তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ম্যাথিউ গ্রাহাম বলেন, ‘এই ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে দূরবর্তী। আমাদের সূর্যের ভরের চেয়ে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ভরের একটি বিশাল নক্ষত্র অতিভারী ব্ল্যাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে আসছে বলে এমন ফ্লেয়ার তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাকহোল নক্ষত্রকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে বলে বিশাল পরিমাণ শক্তি নির্গত হচ্ছে।’ বিজ্ঞানী গ্রাহামের মতে, সেখানে বিশাল বিস্ফোরণের তীব্রতা ও স্থায়িত্বের কারণে এত বিশাল ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ার তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাকহোল নিয়মিতভাবে নিকটবর্তী পদার্থকে গ্রাস করে থাকলেও এমন বিশাল মাত্রার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এমন বিশাল ফ্লেয়ার আগে যা দেখা গেছে, তার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। ফ্লেয়ারটি সর্বোচ্চ শিখরে থাকার সময় এখন পর্যন্ত দেখা যেকোনো ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি উজ্জ্বল। দুটি মহাজাগতিক বস্তুর বিশাল আকারের কারণে এমনটা হচ্ছে। সূর্য থেকে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ভরের নক্ষত্রকে অতিভারী ব্ল্যাকহোল গ্রাস করেছে। ব্ল্যাকহোলের ভর সূর্যের ভরের ৫০০ মিলিয়ন গুণ বেশি বলা যায়। সাত বছরের বেশি আগে শুরু হওয়া এই বিস্ফোরণ সম্ভবত এখনো চলমান।

প্রাথমিকভাবে ২০১৮ সালে তিনটি স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জরিপের সময় ফ্লেয়ারের খোঁজ মেলে। তখন এটিকে ব্যতিক্রমী উজ্জ্বল বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০২৩ সালে হাওয়াইয়ের ডব্লিউ এম কেক অবজারভেটরি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। বিজ্ঞানী গ্রাহাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার ব্ল্যাকহোলের আচরণ সম্পর্কে নতুন তথ্য দিচ্ছে। প্রচলিত ধারণা অনুসারে মহাবিশ্বের বেশির ভাগ গ্যালাক্সির মাঝখানে একটি অতিভারী ব্ল্যাকহোল রয়েছে। এখন আমরা আরও গতিশীল পরিবেশ দেখছি। সুপারম্যাসিভ ধরনের ব্ল্যাকহোলকে অ্যাকটিভ গ্যালাকটিক নিউক্লিয়াস বলা হচ্ছে। এটিকে জে২২৪৫+৩৭৪৩ নামে নামকরণ করা হয়েছে।’

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে নিয়োগ, পদসংখ্যা ৪১
  • বিশাল ব্ল্যাকহোলে বিস্ময়কর আলোকচ্ছটার খোঁজ