বাংলাদেশকে ৫৪ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
Published: 8th, November 2025 GMT
হংকং ইন্টারন্যাশনাল সিক্সেস টুর্নামেন্টে আজ প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ৯৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
মং ককে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে দুটি ফিফটিতে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। ৮ ছক্কায় ১৪ বলে ৫১ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন ওপেনার বেন ম্যাকডারমট। ৭ ছক্কা ও ১ চারে ১১ বলে ৫০ রান করা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালেক্স ক্রসও রিটায়ার্ড হার্ট হন। ৬ বলে ৩০ রান করেন উইলিয়াম বশিস্টো।
বাংলাদেশের স্পিনার রাকিবুল হাসান অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে প্রথম ওভারেই দুটি ওয়াইডসহ মোট ২৪ রান দেন। অবশ্য ওপেনার জ্যাক উডকে ফেরান এই বাঁহাতি। পরের ওভারে চার ছক্কা হজম করে মোট ২৫ রান দেওয়া স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন বশিস্টোকে ফেরান ড্রেসিংরুমে। এরপর আর অস্ট্রেলিয়ার উইকেট ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। আবু হায়দার তৃতীয় ওভারে ১৮ রান দেন, যা ইনিংসে সবচেয়ে কম রানের ওভার। পঞ্চম ওভারে হাবিবুর রহমানকে পাঁচ ছক্কা ও এক চারে মোট ৩৪ রান তোলেন ক্রস। শেষ ওভারে পেসার আবু হায়দার দেন ২৮ রান।
আরও পড়ুনআকবরের ৯ বলে ৩২ রান, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ১৮ ঘণ্টা আগেতাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। ক্রিস গ্রিনের করা এই ওভারে আউট হন হাবিবুর, অধিনায়ক আকবর আলী ও জিসান আলম। পরের ওভারে মোসাদ্দেকও আউট হলে দুই ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২৮। পেস বোলিং অলরাউন্ডার আবু হায়দার একাই যা একটু লড়াই করেন। ৭ ছক্কা ও ২ চারে ১৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১০ বলে ২৫ রান করেন রাকিবুল।
সেমিফাইনালের টিকিট কাটা অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। আজ দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারায় পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৩ উইকেটে ১০২ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান জিতেছে ৩.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন সংঘাতের পর পাকিস্তান–আফগানিস্তানের মধ্যে আলোচনায় আবারও অচলাবস্থা
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সীমান্ত এলাকায় সংঘাতের ঘটনায় দুই পক্ষ একে অপরকে দায়ী করার এক দিন পরই পাকিস্তান এ কথা বলল।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দুই দেশের মধ্যকার আলোচনার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন। পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কাবুলের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে এর আগে এক আফগান কর্মকর্তা বলেন, যৌথ আলোচনা চলার মধ্যেও সীমান্তে পাকিস্তানি ও আফগান বাহিনীর সংঘর্ষে চার আফগান নাগরিক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আলোচনায় মধ্যস্থতা করায় তুরস্ক ও কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আতাউল্লাহ তারার। তিনি উল্লেখ করেন, আফগান তালেবান ২০২১ সালের দোহা শান্তিচুক্তি অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসবাদ’ রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তারার বলেছেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না, যা আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিক। আর আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক আবদুল হক ওয়াসিক দেশটির প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইসলামাবাদ আফগান নাগরিকদের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে যাবে। তবে একই সঙ্গে নিজস্ব নাগরিক ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোল্ডাক শহরের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান আলি মোহাম্মদ হাকমালের অভিযোগ, পাকিস্তানই আগে গুলি চালিয়েছে। তাঁর দাবি, ইস্তাম্বুলে দুপক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলার কারণে আফগান বাহিনী এর জবাব দেয়নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি দাবি করেছেন, আফগানিস্তানই গুলি চালানো শুরু করেছে।
পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটি চলমান সংলাপের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা আফগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একইরকম আচরণ আশা করছে।
মন্ত্রণালয়টির কর্তৃপক্ষের দাবি, দুপক্ষের যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর আছে।
ইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি)-এর মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে আফগানিস্তান। টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে বিভিন্ন হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার অবশ্য ওইসব গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিক।
আর আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক আবদুল হক ওয়াসিক দেশটির প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মুজাহিদ আরও বলেন, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ থামানোর লক্ষ্যে পাকিস্তান তাদের দাবিগুলো মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জমা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা দাবিগুলোর বিষয়ে আফগান তালেবান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক এক করে আলোচনা করছেন।
আরও পড়ুননতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই পাকিস্তান–আফগানিস্তান পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি২১ ঘণ্টা আগেইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবানের (টিটিপি) মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে আফগানিস্তান। টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময় হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার অবশ্য ওইসব গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তান তালেবানের অনেক নেতা ও যোদ্ধা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও টানাপোড়েনের মধ্যে ফেলেছে।
গত সপ্তাহের আলোচনা শেষে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান উভয় পক্ষ শান্তি বজায় রাখতে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দিতে একটি পর্যবেক্ষণ ও যাচাই–বাছাই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ অক্টোবর শুরু হওয়া সংঘর্ষে আফগানিস্তান সীমান্তে এ পর্যন্ত ৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন। ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে আফগানিস্তান।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বলেছে, সংঘর্ষে তাদের ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন, তবে বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়ার কোনো তথ্য তারা উল্লেখ করেনি।