লা লিগার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকতে বার্সেলোনার সঙ্গে ম্যাচটি জিততেই হবে রিয়াল মাদ্রিদকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচটি জিততে সবকিছু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে কার্লো আনচেলত্তির দল। শুধু একাদশ নয়, বেঞ্চের শক্তি নিয়েও তাই ভাবতে হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিকে।

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রাত ৮টা ১৫ মিনিটে লিগের শেষ এল ক্লাসিকোয় স্বাগতিক বার্সার মুখোমুখি হবে রিয়াল। ৩৪ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বার্সার সঙ্গে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে মাদ্রিদের ক্লাবটি। দুই দলের হাতেই আছে আর ৪টি করে ম্যাচ।

রিয়াল শিবিরে চোটের থাবা আছে। দানি কারবাহল, এদের মিলিতাও, আন্তোনি রুডিগার, ফাঁরলা মেন্দি, ডেভিড আলাবা ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা চোটের কারণে মাঠের বাইরে। ক্লাসিকোয় তাঁদের না পাওয়া অবশ্যই আনচেলত্তির মাথাব্যথার কারণ। চোট আছে বার্সা ক্যাম্পেও। জুলস কুন্দে, মার্ক কাসাদো ও মার্ক বের্নালকে এ ম্যাচে পাবে না বার্সা। বেঞ্চের শক্তি তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে দুই দলের জন্য।

আরও পড়ুনরিয়াল এই মৌসুমে বার্সার সঙ্গে পারবে না, আগেই বলেছিলেন ইয়ামাল২৭ এপ্রিল ২০২৫

সে ক্ষেত্রে বেঞ্চ নিয়ে আনচেলত্তির চেয়ে বেশি আশাবাদী হতে পারেন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক। কারণ, লা লিগায় এখন পর্যন্ত রিয়ালের তুলনায় বার্সার বেঞ্চের গোলসংখ্যাই বেশি। লিগে এ পর্যন্ত বেঞ্চের কাছ থেকে ১৯ গোল পেয়েছে বার্সা।

বার্সা–রিয়াল ম্যাচে কি এমন উত্তেজনা দেখা যাবে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল, পোলাপান লইয়া কই যামু’

চার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে এক রাতে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন শেরপুর সদর উপজেলার গৃহিণী নাজমা বেগম (৪৬)। চোখের সামনে নিজেদের শেষ আশ্রয়স্থলটি নদীতে বিলীন হতে দেখেন। এই অবস্থায় কোথায় যাবেন, কী করবেন—কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমন অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাগলঘর গ্রামের এই বাসিন্দা বলেন, ‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল (ব্রহ্মপুত্র নদ), পোলাপান লইয়া কই যামু?’

আপাতত দিনমজুর স্বামী আবদুল্লাহ ও সন্তানদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নাজমা। তবে ভবিষ্যতে কোথায় যাবেন, এই ভেবে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। ব্রহ্মপুত্র নদে বসতভিটা হারানোর এই কষ্ট কিংবা অসহায়ত্ব শুধু নাজমা বেগমের একার নয়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের একই দুর্দশা। পরিবারগুলোর অভিযোগ, সরকারি উদ্যোগে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তারা।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের একাংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গ্রামটির প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যেই অনেকের বসতভিটা নদে পুরোপুরিভাবে বিলীন হয়ে গেছে। আবার কোথাও নদের পাড় ঘেঁষে থাকা শূন্য ভিটায় উঁকি দিচ্ছে বাঁশের খুঁটি। এগুলো এখন সেই দুঃসহ বাস্তবতার সাক্ষী যেন। অনেকে তড়িঘড়ি নিজেদের ঘর থেকে আসবাব সরিয়ে কোনোরকমে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে রেখেছেন।

ব্রহ্মপুত্রের তীর থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে আছে ভাগলঘর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থান। ভাঙন রোধ করা না গেলে যেকোনো সময় এগুলো নদে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। এর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বালু ভরার কাজ চলতে দেখা যায়।

নদের ভাঙনকবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভাগলঘর গ্রামে

সম্পর্কিত নিবন্ধ