এল ক্লাসিকো: বার্সার বেঞ্চের ধার রিয়ালের চেয়ে বেশি
Published: 10th, May 2025 GMT
লা লিগার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকতে বার্সেলোনার সঙ্গে ম্যাচটি জিততেই হবে রিয়াল মাদ্রিদকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচটি জিততে সবকিছু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে কার্লো আনচেলত্তির দল। শুধু একাদশ নয়, বেঞ্চের শক্তি নিয়েও তাই ভাবতে হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিকে।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রাত ৮টা ১৫ মিনিটে লিগের শেষ এল ক্লাসিকোয় স্বাগতিক বার্সার মুখোমুখি হবে রিয়াল। ৩৪ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বার্সার সঙ্গে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে মাদ্রিদের ক্লাবটি। দুই দলের হাতেই আছে আর ৪টি করে ম্যাচ।
রিয়াল শিবিরে চোটের থাবা আছে। দানি কারবাহল, এদের মিলিতাও, আন্তোনি রুডিগার, ফাঁরলা মেন্দি, ডেভিড আলাবা ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা চোটের কারণে মাঠের বাইরে। ক্লাসিকোয় তাঁদের না পাওয়া অবশ্যই আনচেলত্তির মাথাব্যথার কারণ। চোট আছে বার্সা ক্যাম্পেও। জুলস কুন্দে, মার্ক কাসাদো ও মার্ক বের্নালকে এ ম্যাচে পাবে না বার্সা। বেঞ্চের শক্তি তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে দুই দলের জন্য।
আরও পড়ুনরিয়াল এই মৌসুমে বার্সার সঙ্গে পারবে না, আগেই বলেছিলেন ইয়ামাল২৭ এপ্রিল ২০২৫সে ক্ষেত্রে বেঞ্চ নিয়ে আনচেলত্তির চেয়ে বেশি আশাবাদী হতে পারেন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক। কারণ, লা লিগায় এখন পর্যন্ত রিয়ালের তুলনায় বার্সার বেঞ্চের গোলসংখ্যাই বেশি। লিগে এ পর্যন্ত বেঞ্চের কাছ থেকে ১৯ গোল পেয়েছে বার্সা।
বার্সা–রিয়াল ম্যাচে কি এমন উত্তেজনা দেখা যাবে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম্যান আরাফাত
সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক আমি। বাসার কাছেই ছিল একটি ওষুধের দোকান। সেখানে পত্রিকা রাখা হতো। স্কুলে যাওয়া–আসার পথে সেই দোকানে বসে পত্রিকা পড়তাম।
কলেজে ওঠার পর প্রথম আলোতে একদিন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর পড়ি। পড়ে রোমাঞ্চিত হই। চিন্তা করি, কীভাবে সম্ভব সাগরে সাঁতার কাটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও সেটি মাথায় ছিল। ২০১৩ সালে সাঁতারু লিপটন সরকার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি উৎসাহ দিলেন। শুরু হলো অনুশীলন। ২০১৫ সালে সাঁতরে পাড়ি দিলাম ওই চ্যানেল। সেই খবর ছাপল প্রথম আলো। কাছের-দূরের, কম পরিচিত-বেশি পরিচিত—সবাই খবরটা জেনে শুভেচ্ছা জানালেন। অনেক উৎসাহ পেলাম।
আমার রোমাঞ্চকর যাত্রা অব্যাহত থাকল। ২০১৭ সালে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে নামলাম। উদ্দেশ্য ছিল ‘দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থতা’র বার্তা ছড়ানো। ২০ দিনের সেই যাত্রার গল্প ছাপা হলো ‘ছুটির দিনে’তে। শিরোনাম আজও মনে আছে, ‘দৌড়ে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’। খবরটি দেখে সেই দিন এতটা নার্ভাস লাগছিল যে সারা দিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি।
‘চ্যালেঞ্জ রথ’ ট্রায়াথলনে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত