কদিন আগেও কেউ ভাবেনি, মৌসুমের শেষ ‘এল ক্লাসিকো’তে এসে একই সমতলে দাঁড়াবে রিয়াল মাদ্রিদ–বার্সেলোনা! আগের তিন ক্লাসিকোতে বার্সার একচ্ছত্র দাপটের পর তাদের শ্রেষ্ঠত্বও মেনে নিয়েছিলেন অনেকেই।

সেই তিন ম্যাচের দুটি আবার ছিল ফাইনাল, একটা স্প্যানিশ সুপার কাপ ও একটি কোপা দেল রেতে। আর এই দাপুটে পারফরম্যান্সের কারণে সপ্তাহখানেক আগেও রিয়ালের বিপক্ষে লিগ নির্ধারণী এল ক্লাসিকোতে বার্সাকে ধরা হচ্ছিল নিরঙ্কুশ ফেবারিট।

আজকের ম্যাচ জিতে ট্রেবল জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়াটাও তখন মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু বার্সার দুঃসময়টা যেন এসেছে হাওয়ার বেগে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৭–৬ গোলের হার বার্সার ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসেও দিয়েছে বড় ধাক্কা।

আরও পড়ুনএল ক্লাসিকো: টানা তিন হারের পরও পরিসংখ্যান কিন্তু রিয়ালের পক্ষে২০ ঘণ্টা আগে

বিপরীতে বার্সার এই ধাক্কা নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করেছে রিয়ালে। প্রায় সব হারানো মৌসুমের শেষটা এখন দারুণভাবে শেষ করার সুযোগ দেখছে তারাও। যা দিয়ে কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তির বিদায়টাও রাঙাতে চায় রিয়াল তারকারা।

আনচেলত্তির রিয়ালের জন্য চলতি মৌসুমটা এখন পর্যন্ত ভুলে যাওয়ার মতোই। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের পাশাপাশি স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রেতে হারতে হয়েছে ফাইনালে। তা–ও সেই হার আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার কাছে।

আজ কি পারবেন ইয়ালাল–বেলিংহামরা জাদু দেখাতে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

শাহবাগ ছাড়েননি জুলাইয়ের আহতেরা, সুচিকিৎসাসহ তিন দফা দাবি

তিন দফা দাবিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতেরা গতকাল শনিবার রাত থেকে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ, জুলাইয়ের সনদ ঘোষণা করা ও অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবিতে তাঁরা সেখানে অবস্থান করছেন।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে টানা তিন দিন ধরে আন্দোলনের পর গতকাল শনিবার রাত সাড়ে তিনটার পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও অন্যান্য দলের নেতা কর্মীরা  শাহবাগ ছাড়েন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতেরাও তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন। তবে তাঁরা শাহবাগ ছাড়েননি। একই মঞ্চে অবস্থান নেন আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে আহতদের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। চারটি প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন জুলাইয়ের আহত  ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।  ফলে শাহবাগ দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফার্মগেট ও সায়েন্স ল্যাব সড়কের যানবাহন মৎস্য ভবন মোড় হয়ে হেয়ার রোড দিয়ে চলাচল করছে।

জুলাইয়ে আহত আবু হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করলেই আমরা চলে যাব না। আমরা দাবির বাস্তবায়ন চাই। আমরা জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি নিয়েই বাড়ি ফিরব। আমাদের রক্তের ওপর দিয়েই আজকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা ক্ষমতায় বসেছেন। অথচ তারা আহত যোদ্ধাদের দাবি পূরণ করতে পারছেন না।’  

জুলাইয়ে আহত নাজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের জীবন দিয়ে দেশের জন্য লড়াই করেছিলাম, আমরা উপদেষ্টা হতে চাই না। আমরা আমাদের সুচিকিৎসা চাই।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। পিলখানা হত্যার বিচার করতে হবে। জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।’  

তিন দফা দাবিতে শাহবাগে অবস্থান করছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ