সাভারের মিলিটারি ফার্মের একটি পুকুর ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন রেডিও কলোনী ইউটার্নের পাশ থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এঘটনায় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে এই মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের একজনের নাম আব্দুল খালেক (৭৫)। তিনি টাঙ্গাইলের নাহরপুর থানার নাথুরা এলাকার মৃত নওজেশ আলীর ছেলে।
আব্দুল খালেকের মরদেহ মিলিটারি ফার্মের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুরে মিলিটারি ফার্মের পুকুরের পানিতে তার লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন রেডিও কলোনী ইউটার্নের পাশ থেকে উদ্ধারকৃত অপর মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায় নি। তার পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) খবর দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে স্থানীয় ও পথচারীদের খবরের ভিত্তিতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায় নি।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আলম বলেন, “দুপুরে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/সাব্বির/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টাকা ও ক্ষমতা ব্যবহার করে দল গড়া মানুষ দেখতে চায় না: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছে, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর মানুষ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সত্যিকার নেতৃত্ব দেখতে চায়। টাকা ও ক্ষমতা ব্যবহার করে দল গড়া মানুষ দেখতে চায় না। এমনকি যাঁরা আজকের তুর্কি–তরুণ, তাঁরাও অনেকে এই গড্ডালিকায় গা ভাসাবেন, এমনটা আশা করেনি কেউ। মানুষ ভরসা রাখতে চায়।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই স্মৃতি হলে শ্রমিকনেতা ‘প্রয়াত মির্জা আবুল বশর স্মরণসভায়’ প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন।
সভায় তিনি সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিয়ে সবাই এখনো ঐকমত্য হতে না পারলেও অগ্রগতির জায়গা রয়েছে। আবার কিছু মতপার্থক্যও আছে। অগ্রগতির দিকটা ছোট করার কিছু নেই। আবার যেসব বিষয়ে পার্থক্য আছে, যেসব বিষয়কে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি এবং অপরিহার্য মনে করি, সেসব বিষয় বাস্তবায়নের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। মানুষ সে লড়াই চায়। মানুষ চায়, তাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক।’
গণ–অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, গণ-অভ্যুত্থান শেষ হয়ে যায়নি। এ দেশে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার হবে, এমনটা কেউ ভাবেনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজীবনে ১০ বছরের বেশি কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, সংসদের উচ্চকক্ষের গঠনপ্রকৃতি কী হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন কীভাবে হবে, এমন নানা বিষয়ে ঐকমত্য হচ্ছে।
মির্জা আবুল বশর স্মৃতি পরিষদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ৬৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম নির্বাহী সমন্বয়কারী মির্জা আবুল বশর। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে মির্জা আবুল বশরের রাজনৈতিক দর্শন ও কর্মপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, মির্জা আবুল বশর অত্যন্ত সৎ ও প্রজ্ঞাবান নেতা ছিলেন। মেহনতি মানুষের জন্য আমৃত্যু লড়াই করেছেন তিনি। অনেকে অনেক পেশা নেন, জীবনের ব্রত নেন, কর্তব্য ঠিক করেন। পরিবর্তনের জন্য কাজ করেন। এই কর্তব্য পালনের ডাকে আজকের তরুণেরা সাড়া দেবেন। তাঁরা টাকা কিংবা ক্ষমতার দাপটের কাছে পরাজিত হবেন না, বরং সেটাকে মোকাবিলা করে টিকে থাকবেন।
স্মরণসভায় ছাত্র, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন মির্জা আবুল বশরের আত্মীয়স্বজন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হওয়া এ সভা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। সভার সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমি।