আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটকীয়তা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়া ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, নাসির উদ্দিন পিন্টুকে আজ যেভাবে স্মরণ করা হচ্ছে, এই নাসির উদ্দিনদের মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকের এই বিএনপি।

এসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার আন্দোলনকে নাটক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো অপকর্মের আগে শেখ হাসিনাও মানুষের দৃষ্টি সরাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতেন। বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা না করলেও একটি অজনপ্রিয় দল শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করছে।

তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কারণ আওয়ামী লীগকে বিএনপি কখনো আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি তাদের পুনর্বাসন করবে; এটি যারা বলে তারা বিএনপিকে হিংসা করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অথচ সরকার কিছু জানে না; তারা কী জানে?

তাছাড়া, প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না, তারাই দেশ পরিচালনা করছে। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে। করিডর নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কথা বলছে না।

সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে এনসিপি কেন কথা বলছে না— দলটির কাছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, বিশ্বের ডিকশনারিতে মানবিক করিডর বলে কিছু নেই। প্রয়োজনে একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারবো না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। আবার আমরা শুনতে পাচ্ছি মানবিক করিডর দেওয়া হবে, কেন কার স্বার্থের জন্য করিডোর, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনও করিডর দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।

এসময় মানবিক করিডোর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বিএনপি ছাড়া করিডর নিয়ে কেউ কথা বলছে না। জামায়াত, চরমোনাই কেউ কথা বলছে না। বিএনপিকে শেষ করতে পারলেই আওয়ামী লীগের মত দেশ লুটেপুটে খাওয়া যাবে।

নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো.

নেছারুল হক প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয ম ল গ ব এনপ ব এনপ র এনস প আওয় ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ‘নৈতিক অবক্ষয়ের চক্রান্ত সফল হবে না’  

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করিম আকরাম বলেন, সম্প্রতি কিছু সংগঠন যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি তুলেছে, যা ইসলাম, সংবিধান ও বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

ইসলামী শরীয়তে যৌনপেশা সম্পূর্ণ হারাম এবং সমাজের নৈতিক ভিত্তিকে ধ্বংস করে দেয়। এই চক্রান্ত কোনোভাবেই সফল হতে দেয়া হবে না। আমরা চাই দেশ চজ (অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন করুক। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না।

ফতুল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুতুবপুর সাংগঠনিক ইউনিয়নের সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টায় ফতুল্লার রামারবাগে পুতুল ঘর কনভেনশন হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, যেভাবে ২৪শে গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার হটানো হয়েছে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি এলেও জনগণ আন্দোলনে নামবে।

বিশেষ অতিথি ফতুল্লা থানা সভাপতি মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় নির্বাচন আগে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত, যাতে জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা শাখার সহ-সভাপতি আলহাজ মুহাম্মাদ আমান উল্লাহ, সেক্রেটারি মুহাম্মাদ জুবায়ের হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মুহাম্মাদ রুবেল হোসাইনসহ সহযোগী সংগঠন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনের শেষে প্রধান অতিথি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন এবং শপথ বাক্য পাঠ করান।

নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মুহাম্মাদ মাসুদুর রহমান। সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ মোশারফ হোসেন ও মুহাম্মাদ ইউনুছ গাজী। সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পান মুহাম্মাদ আবুল বাশার আল আজাদ। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাঁচতে হলে পাকিস্তানকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে হবে: মোদি
  • ঈদুল আজহা ও হজ যখন প্রতিবাদের ক্ষেত্র
  • আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
  • আওয়ামী লীগ কার্যক্রম চালালে শক্ত হাতে দমন করা হবে: ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি
  • নতুন বন্দোবস্তের লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে উন্নতি: জোনায়েদ সাকি
  • রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সব সমস্যার সমাধান নয়: গয়েশ্বর
  • যুদ্ধের দিকে যাত্রা থেমে যাক
  • সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে: তারেক
  • ইসলামী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ‘নৈতিক অবক্ষয়ের চক্রান্ত সফল হবে না’