নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রাধানগর বাজারে খাজা মোল্যা (৫০) নামে একজন কৃষককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাধানগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাজা মোল্যা ইছাখালি গ্রামের লবা মোল্যার ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে খাজা মোল্যা বাড়ি থেকে বাজার করার জন্য রাধানগর বাজারে যান। সেখানে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কুমারডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য পলাশ শেখের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন ধারালো অস্ত্রসহ খাজা মোল্যাকে ঘিরে ফেলে। এ সময় তিনি বাজারে রবিউলের চায়ের দোকানের সামনে বসে ছিলেন। দুবৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পলাশ শেখ বলেন, ‘‘আমি সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে শুনতে পাই খাজা মোল্যাকে কুপিয়েছে। কে বা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে আমি জানি না। এ ঘটনার সাথে আমার লোকজনও জড়িত না।’’
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/শরিফুল//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ধ নগর ব জ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’