কোহলির অবসর: ‘আসল ঘটনা হয়তো কখনোই জানা যাবে না’
Published: 15th, May 2025 GMT
বিরাট কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন তিন দিন আগে। কিন্তু তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনাকল্পনা থামেনি।
পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে আগামী জুনে ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। এর আগেই কোহলির অবসর ঘোষণাকে অনেকেই স্বাভাবিক চোখে দেখছেন না। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ যেমন মনে করেন, কোহলি টেস্ট খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচকেরা এই সংস্করণে গত কয়েক বছরের ফর্ম বিচার করে কোহলিকে সম্ভবত বলেছেন, দলে তাঁর আর জায়গা হবে না।
আরও পড়ুনমুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কোচ যেভাবে বাংলাদেশকে বদলে দিতে চান৩ ঘণ্টা আগেভারতের বার্তা সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে আলাপচারিতায় কাইফ এটাও বলেছেন, আসল ঘটনা হয়তো কখনোই জানা যাবে না। পর্দার আড়ালে কী ঘটেছে, সেসব অনুমান করা খুব কঠিন বলে মন্তব্যও করেন ৪৪ বছর বয়সী কাইফ।
নিজে যা মনে করেন, কাইফ সেটাই বলেছেন আইএএনএসকে। টেস্টে কোহলির ফর্ম সাম্প্রতিক সময়ে ভালো না হলেও ভারতীয় ভক্তদের আশা ছিল, রোহিত শর্মা টেস্ট ছাড়ার পর ৩৬ বছর বয়সী কোহলি এই সংস্করণে আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাবেন। খেলবেন আগামী মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের সাবেক ফরেস্টারের বিরুদ্ধে অনিয়ম–ঘুষের অভিযোগ ইউপি সদস্যের
সুন্দরবনকেন্দ্রিক দীর্ঘদিনের অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ ও ব্যক্তিগত মানহানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গোলাম কিবরিয়া।
আজ মঙ্গলবার সকালে কয়রা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা বন বিভাগের সাবেক ফরেস্টার তানজিলুর রহমানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম কিবরিয়া বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা তানজিলুর রহমান তাঁর কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময় সুন্দরবনের বিভিন্ন ফরেস্ট স্টেশন ও টহল ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিষ দিয়ে মাছ শিকার, হরিণশিকারিদের সহযোগিতা, অবৈধ প্রবেশে সহায়তা, ঘুষ গ্রহণ, অনিয়মসহ প্রতিবাদকারীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করেছেন।
গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ করেন, গত বছর এলাকার কয়েকজন গরিব জেলে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতিপত্র (বিএলসি) নিতে তাঁর (কিবরিয়ার) সহায়তা চান। বিষয়টি তিনি তৎকালীন নলিয়ান ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা তানজিলুর রহমানের কাছে জানালে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। জেলেরা তাঁর অজান্তে ধারদেনা করে টাকা পরিশোধ করলেও অবসরের আগে কোনো অনুমতিপত্র দেননি। পরে তিনি জানতে পেরে তানজিলুর রহমানের কাছে গরিব জেলেদের টাকা ফেরত চাইলে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা ফেরত চাওয়ার পর থেকে তানজিলুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন গোলাম কিবরিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া বলেন, অপপ্রচারের একটি অডিও তাঁর হাতে এসেছে, যেখানে এক মামলার আসামিকে তানজিলুর রহমান বলছেন, বেশির ভাগ মামলার আসামির নাম তিনি কিবরিয়া মেম্বারের কাছ থেকে পেয়েছেন। সেই কথোপকথনে আরও শোনা যায়, মামলায় মুক্তি পেতে হলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলে কিবরিয়া মেম্বারের বিরুদ্ধে বলার শর্ত দেন তিনি। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, ‘আমি কখনো সুন্দরবনে প্রবেশ করিনি; বরং অপরাধের খবর বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিয়েছি। তবুও আমার নামেই মামলা দেওয়া হয়েছে।’ তখন তানজিলুর রহমান বলেন, ‘মামলা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আমার সঙ্গে ঝামেলা কোরো না, কয়রা আদালতে গিয়ে তোমাদের পক্ষে বলে আসব।’
গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ করেন, তানজিলুর রহমান অবৈধ উপায়ে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। বনজীবীদের শোষণ, ঘুষ আদায় ও অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করলে সত্যতা স্পষ্ট হবে।
গোলাম কিবরিয়া জানান, তিনি কখনো মিথ্যা মামলায় কাউকে জড়াননি; বরং সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন। তবে ফরেস্টার তানজিলুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মানহানি করছেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ফরেস্টারের দায়ের করা মামলাগুলো নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে নির্দোষ বনজীবীদের মুক্তি ও তাঁর অবৈধ সম্পদের উৎস অনুসন্ধানে দুদকের সক্রিয় ভূমিকা চান।
এ বিষয়ে জানতে তানজিলুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।