‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-৫’, এবার রয়েছে এক ভূত
Published: 15th, May 2025 GMT
আবারও শুরু হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর নতুন সিজন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ধারাবাহিকটির পঞ্চম সিজনের শুটিং। গত ১৪ মে প্রকাশ হলো সিজন-৫ এর ফাস্টলুক ও পোস্টার।
বরাবরের মতো এবারও থাকছেন শিমুল শর্মা, জিয়াউল হক পলাশ, মারজুক রাসেল, চাষী আলম। তবে এদের সঙ্গে এবার রয়েছে একজন ভূতও! যদিও এই ভূত রহস্য জানাননি নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।
দর্শক সবসময় এ জনপ্রিয় ধারাবাহিকের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। অথচ এত লম্বা সময় পর কেন সিজন-৫ শুরু হতে যাচ্ছে, এ প্রশ্নের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি বলেন, “আমি একটা সিজন শেষ করার পর সঙ্গে সঙ্গে চাইলেই নতুন সিজন শুরু করতে পারি; কিন্তু তাতে কোনো বৈচিত্র্য থাকবে না। প্রতিটি সিজনে আমি নতুন স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করি দর্শকদের। এজন্য পড়াশোনা, ভাবনা ও বিশ্লেষণ করি। ‘সিজন-৫’ করার জন্য আমার এ সময়টুকু লেগেছে, যদিও এর মাঝে অন্যান্য কাজও আমি করেছি।”
সিরিজটি প্রথম প্রচার হয়েছিল ২০১৮ সালে। একঝাঁক ব্যাচেলর চরিত্র নিয়ে গড়ে ওঠা এ ধারাবাহিক খুব অল্প সময়েই দর্শকমহলে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)