আবারও শুরু হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর নতুন সিজন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ধারাবাহিকটির পঞ্চম সিজনের শুটিং। গত ১৪ মে প্রকাশ হলো সিজন-৫ এর ফাস্টলুক ও পোস্টার।

বরাবরের মতো এবারও থাকছেন শিমুল শর্মা, জিয়াউল হক পলাশ, মারজুক রাসেল, চাষী আলম। তবে এদের সঙ্গে এবার রয়েছে একজন ভূতও! যদিও এই ভূত রহস্য জানাননি নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।

দর্শক সবসময় এ জনপ্রিয় ধারাবাহিকের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। অথচ এত লম্বা সময় পর কেন সিজন-৫ শুরু হতে যাচ্ছে, এ প্রশ্নের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি বলেন, “আমি একটা সিজন শেষ করার পর সঙ্গে সঙ্গে চাইলেই নতুন সিজন শুরু করতে পারি; কিন্তু তাতে কোনো বৈচিত্র্য থাকবে না। প্রতিটি সিজনে আমি নতুন স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করি দর্শকদের। এজন্য পড়াশোনা, ভাবনা ও বিশ্লেষণ করি। ‘সিজন-৫’ করার জন্য আমার এ সময়টুকু লেগেছে, যদিও এর মাঝে অন্যান্য কাজও আমি করেছি।”

সিরিজটি প্রথম প্রচার হয়েছিল ২০১৮ সালে। একঝাঁক ব্যাচেলর চরিত্র নিয়ে গড়ে ওঠা এ ধারাবাহিক খুব অল্প সময়েই দর্শকমহলে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় এক পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ হলো ৮ কারখানা

ফতুল্লায় আবির ফ্যাশন নামে একটি রপ্তানীমুখী পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাটাইকে কেন্দ্র করে অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০ জুন) সকালে ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকার কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

এসময় ওই কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আশপাশের আরো ৮টি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সাথে এদিন সকাল থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উত্তপ্ত ছিলো ফতুল্লার শিল্পাঞ্চল। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন মিমাংসা না হওয়ায় আবির ফ্যাশন লে-অফ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টায় শ্রমিকরা আবির ফ্যাশনে এসে লে-অফ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়। এরপর অন্তত এক হাজারের মত শ্রমিক এক সাথে হয়ে আশপাশে অবস্থিত মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ, মেট্রো নিটিং, ক্যাট টেক্স, পলমল গ্রুপ, টাইম সোয়েটার, আজাদ ফ্যাশনসহ অন্তত ৮টি কারখানার গেটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এসময় কারখানা গুলোর মালিকপক্ষ ভয়ে শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন।

এতে শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আলোচনা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

শ্রমিকদের দাবি, ছাটাই বন্ধসহ ৮ দফা মেনে না নিলে আন্দোলন চলবে। কাজ করলে কারখানার সকল শ্রমিক কাজ করবে নয়তো কেউ কাজ করবে না। মালিকপক্ষকে একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার সহ ৮টি দাবি জানানো হয়েছে। মালিকপক্ষ দাবি মেনে না নেয়ায় আলোচনা থেকে শ্রমিকরা বেরিয়ে এসেছে। আন্দোলন চলবে।

আবির ফ্যাশনের ম্যানেজার সাগর মল্লিক বলেন, আমাদের কারখানায় ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টসে রয়েছে ২৪শ। গার্মেন্টসের মধ্যে ২০৫জন শ্রমিককে আমরা চিহ্নিত করেছি যারা সবসময় নানা অজুহাতে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করেন।

আমাদের ধারণা কোন একটি চক্র গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংস করে দিতেই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিনে ওই শ্রমিকরা গার্মেন্টসে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় আবির ফ্যাশনে কিছু শ্রমিক তান্ডব চালিয়েছে। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ একটি এজাহার দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ বিকেল ৪টার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ